হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমরা সাধারণত গরমকালে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানি পান করে থাকি। কিন্তু ডাবের পানির গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। ডাবের পানিতে রয়েছে মানব শরীরের জন্য উপকারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাংগানিজ, জিংক এবং ম্যাগনেসিয়ামে পূর্ণ ডাবের পানি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে দেহের সুস্থতার স্থায়িত্ব বাড়ায়। চলুন জেনে নেয়া যাক খাবার খাওয়ার আগে পরে দিনের যেকোন সময় পান করা যায় এমন সুপেয় পানীয়ের উপকারীতা।
১। ডাবের পানি নিয়মিত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
২। ডাবের পানি শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে দেহে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩। ইউরিন ইনফেকশন দূর করে এবং কিডনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪। ডাবের পানি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
৫। ডাবের পানি ত্বকের তৈলাক্ততা, ব্রণ এবং রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৬। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৭। ডাবের পানি শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে না দিয়ে তারুণ্য ধরে রাখে।
৮। দাঁতের মাড়ির রোগ এবং ঠান্ডা লাগা থেকে প্রতিরোধ করে এই যাদুকরী পানীয়।
৯। ক্লান্তি দূর করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১০। হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১১। ডাবের পানি পানে বুকের জ্বালাপোড়া বন্ধ হয়।
প্রচলিত আছে তিনিই সবচেয়ে ভাল ডাক্তার যিনি ঔষুধের সাথে সাথে রোগীকে ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলে দেন। যাদুকরী ডাবের পানির উপকারীতা বলে শেষ করা না গেলেও এর বেশকিছু অপকারীতা রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। ডাবের পানির উপকারীতা এবং অপকারীতা জেনে আমরা সহজেই এই প্রাকৃতিক পানীয়ের গুণাগুণকে করতে পারি আরো অর্থবহ এবং স্বাস্থ্যকর। চলুন জেনে নেই ডাবের পানির কিছু অপকারীতা।
১। ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ খুব কম থাকলেও এতে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে। তাই যারা ওজন কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তাদের ডাবের পানি এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
২। প্রতিদিন ডাবের পানি পান রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৩। ডাবের পানিতে প্রচুর সোডিয়াম থাকে তাই অতিরিক্ত ডাবের পানি পান উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
যেকোন খাদ্য দ্রব্য অধিক গ্রহণ করলে তা মানবদেহের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তাই ডাবের পানি পানের সুফল পেতে পরিমিত হারে দুই একদিন বিরতিতে গ্রহণ করা উচিত।