ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের কারিগরদের সাথে একদিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কর্মজীবনে একঘেয়েমি কাজে আছে ক্লান্তি। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে কাজের ফাঁকে একটু সময় তো আপনাকে বের করে নিতেই হবে। শরীর ও মনকে চাঙা করতে ভ্রমণের জুড়ি নেই। আপনার পছন্দের কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেবেন সহজেই। সেটা হতে পারে দেশে বা দেশের বাইরে। ঘোরাঘুরি আপনার দেহে ও মনে ভরে দেবে প্রশান্তিতে। এ ছাড়া ভ্রমণের কারণে বিভিন্ন জায়গায় নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা হবে আপনার, যা পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে দেবে। আর এই ভ্রমণ হয় যদি প্রাচীন মৃৎশিল্পের কোনো কারিগরের সাথে তাহলে তো কথাই নেই। আর খরচের কথা ভাবছেন মাত্র ৮০০ টাকা।

বিশ্বজুড়ে প্রত্যেকটি দেশের রয়েছে নিজস্ব শিল্প ও সংস্কৃতি। এই শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয়েই পরিচিত হয় সেই দেশ বা জাতি। একেকটি শিল্পের বিস্তারের পিছনে রয়েছে একেকটি দেশ বা জাতির অবদান। তেমনই একটি শিল্প হচ্ছে মৃৎশিল্প। মৃৎশিল্প শব্দটি ‘মৃৎ’ এবং ‘শিল্প’ এই দুই শব্দের মিলত রূপ। ‘মৃৎ’ শব্দের অর্থ মৃত্তিকা বা মাটি আর ‘শিল্প’ বলতে এখানে সুন্দর ও সৃষ্টিশীল বস্তুকে বোঝানো হয়েছে। এজন্য মাটি দিয়ে তৈরি সব শিল্পকর্মকেই মৃৎশিল্প বলা যায়। এই ধরণের কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে কুমার বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকে বংশনুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। অতীতে গ্রামের সুনিপন কারিগরের হাতে তৈরী মাটির জিনিসের কদর ছিল অনেকাংশ বেশি। পরিবেশ বান্ধব এ শিল্প শোভা পেত গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে।

সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যাবার সড়কটি অসাধারণ। দুই পাশের সবুজ গাছপালা আপনাকে মোহিত করবে নিশ্চিত। গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়ার বাজার পেড়িয়ে আপনি এসে পৌঁছাবেন পাগলা বাজারে। গ্রামীণ মেঠোপথ পাড়ি দিয়ে আপনাকে পৌঁছাতে হবে পালপাড়ায়। অতি সাধারণ পরিবেশ নেই কোনো কোলাহল। যে যার কাজে ব্যস্ত। ৭০টি পরিবার আছে যাদের জীবনধারণ এই কাজের ওপর নির্ভরশীল। পালপাড়ায় প্রবেশের পর দেখবেন  প্রত্যেকের বাড়ির আঙিনায় তাদের তৈরিকৃত দ্রব্য সামগ্রী রোডে রোদে শুকাতে দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মাটির খেলনা, পাতিল, প্রদীপ, কলস আরো কত কী! কেউ মাটির পুতুল বানাচ্ছে, কেউ বানাচ্ছে মঙ্গল প্রদীপ। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখানকার সবাই এই কাজ করে। আট বছরের বালক থেকে শুরু করে নব্বই বছরের বয়স্ক লোকটিও কাজ করছেন। দশ পুরুষ ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন।

কীভাবে যাবেন

পাগলা বাজর যেতে হলে আপনাকে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জগামী সরাসরি বাস রয়েছে তাতে উঠতে হবে। এনা, হানিফ, শ্যামলী, ইউনিকসহ অনেক বাস এই পথে চলে। সুনামগঞ্জ পৌছার আগেই পাবেন পাগলা বাজার। সেখান আপনাকে নামতে হবে। পাগলা বাজার থেকে হাতের বাঁয়ে গেলে কিছু দূরে দেখা পাবেন ছোট একটি ব্রিজের। ব্রিজ পাড়ি দিয়ে কিছু দূর গেলেই দেখা পাবেন পালপাড়ার। অথবা প্রথমে সিলেট শহরে ট্রেন অথবা বাসে করে গিয়ে পরে গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন পাগলা।

 সূত্রঃ এন টিভি
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের কারিগরদের সাথে একদিন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কর্মজীবনে একঘেয়েমি কাজে আছে ক্লান্তি। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে কাজের ফাঁকে একটু সময় তো আপনাকে বের করে নিতেই হবে। শরীর ও মনকে চাঙা করতে ভ্রমণের জুড়ি নেই। আপনার পছন্দের কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেবেন সহজেই। সেটা হতে পারে দেশে বা দেশের বাইরে। ঘোরাঘুরি আপনার দেহে ও মনে ভরে দেবে প্রশান্তিতে। এ ছাড়া ভ্রমণের কারণে বিভিন্ন জায়গায় নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা হবে আপনার, যা পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে দেবে। আর এই ভ্রমণ হয় যদি প্রাচীন মৃৎশিল্পের কোনো কারিগরের সাথে তাহলে তো কথাই নেই। আর খরচের কথা ভাবছেন মাত্র ৮০০ টাকা।

বিশ্বজুড়ে প্রত্যেকটি দেশের রয়েছে নিজস্ব শিল্প ও সংস্কৃতি। এই শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয়েই পরিচিত হয় সেই দেশ বা জাতি। একেকটি শিল্পের বিস্তারের পিছনে রয়েছে একেকটি দেশ বা জাতির অবদান। তেমনই একটি শিল্প হচ্ছে মৃৎশিল্প। মৃৎশিল্প শব্দটি ‘মৃৎ’ এবং ‘শিল্প’ এই দুই শব্দের মিলত রূপ। ‘মৃৎ’ শব্দের অর্থ মৃত্তিকা বা মাটি আর ‘শিল্প’ বলতে এখানে সুন্দর ও সৃষ্টিশীল বস্তুকে বোঝানো হয়েছে। এজন্য মাটি দিয়ে তৈরি সব শিল্পকর্মকেই মৃৎশিল্প বলা যায়। এই ধরণের কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে কুমার বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকে বংশনুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। অতীতে গ্রামের সুনিপন কারিগরের হাতে তৈরী মাটির জিনিসের কদর ছিল অনেকাংশ বেশি। পরিবেশ বান্ধব এ শিল্প শোভা পেত গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে।

সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যাবার সড়কটি অসাধারণ। দুই পাশের সবুজ গাছপালা আপনাকে মোহিত করবে নিশ্চিত। গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়ার বাজার পেড়িয়ে আপনি এসে পৌঁছাবেন পাগলা বাজারে। গ্রামীণ মেঠোপথ পাড়ি দিয়ে আপনাকে পৌঁছাতে হবে পালপাড়ায়। অতি সাধারণ পরিবেশ নেই কোনো কোলাহল। যে যার কাজে ব্যস্ত। ৭০টি পরিবার আছে যাদের জীবনধারণ এই কাজের ওপর নির্ভরশীল। পালপাড়ায় প্রবেশের পর দেখবেন  প্রত্যেকের বাড়ির আঙিনায় তাদের তৈরিকৃত দ্রব্য সামগ্রী রোডে রোদে শুকাতে দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মাটির খেলনা, পাতিল, প্রদীপ, কলস আরো কত কী! কেউ মাটির পুতুল বানাচ্ছে, কেউ বানাচ্ছে মঙ্গল প্রদীপ। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখানকার সবাই এই কাজ করে। আট বছরের বালক থেকে শুরু করে নব্বই বছরের বয়স্ক লোকটিও কাজ করছেন। দশ পুরুষ ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন।

কীভাবে যাবেন

পাগলা বাজর যেতে হলে আপনাকে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জগামী সরাসরি বাস রয়েছে তাতে উঠতে হবে। এনা, হানিফ, শ্যামলী, ইউনিকসহ অনেক বাস এই পথে চলে। সুনামগঞ্জ পৌছার আগেই পাবেন পাগলা বাজার। সেখান আপনাকে নামতে হবে। পাগলা বাজার থেকে হাতের বাঁয়ে গেলে কিছু দূরে দেখা পাবেন ছোট একটি ব্রিজের। ব্রিজ পাড়ি দিয়ে কিছু দূর গেলেই দেখা পাবেন পালপাড়ার। অথবা প্রথমে সিলেট শহরে ট্রেন অথবা বাসে করে গিয়ে পরে গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন পাগলা।

 সূত্রঃ এন টিভি