ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসা ভাড়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার ব্যাচেলররা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৮
  • ২৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শহরে ব্যাচেলর বা স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর বৃহত্তর বসবাসের স্থান মেস হিসেবে পরিচিত। আর সেই মেস ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বৃহত্তর এক শ্রেণির মানুষ এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও) নামক একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ জানানো হয়।

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আক্তারুজ্জামান আয়াতুল্লাহ বলেন, মেস বিভিন্ন নামে পরিচিত। মহিলা হোস্টেল, ছাত্রী নিবাস, ছাত্রাবাস, ডরমেটরি, অফিসার মেস ইত্যাদি।

তিনি বলেন, মেস হিসেবে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সবাই। এ কারণে অনেকে মেসে বসবাস করা সত্ত্বেও তা স্বীকার করতে লজ্জা পায়।

মেস বিষয়ক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গ্রাম-গঞ্জের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা ও সৃষ্টি হওয়া ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বেশিরভাগ জীবনে মেসে বসবাস করেছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেস ভাড়ায় অনেক বৈষম্য রয়েছে। ফ্যামিলি বাসা ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় হয় মেস বাসা। এরপরে রয়েছে মেস ভাড়া পাওয়া নিয়ে ঝামেলা। অনেক বাড়িতে মেস ভাড়া দেয় না।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেস সংঘের পক্ষ থেকে ১৩ দফা তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— প্রতি বাড়ি-ফ্ল্যাটে মেসের জন্য স্থান বরাদ্দ, প্রতিটি মেসে পুলিশের পরিদর্শন ও সদস্যদের পরিচয় নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চতকরণ।

মেস ভাড়া স্বাভাবিক করণে বাড়ির মালিকদের উদ্বুদ্ধকরণ, মেস ভাড়ার নীতিমালাকরণ, মেস কেন্দ্রীক অপরাধ রোধ, বাড়ির মালিকদের মেস মেম্বারদের প্রতি সঠিক আচরণ নিশ্চতকরণ, বিভাগীয় শহরের উপকন্ঠে পরিকল্পিত মেস নগরী গড়ে তোলাসহ অন্যান্য।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সৈয়দ আক্তার মিয়াজি, নয়ন মৃধা, মোমেন মেহেদি প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাসা ভাড়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার ব্যাচেলররা

আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শহরে ব্যাচেলর বা স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর বৃহত্তর বসবাসের স্থান মেস হিসেবে পরিচিত। আর সেই মেস ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বৃহত্তর এক শ্রেণির মানুষ এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও) নামক একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ জানানো হয়।

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আক্তারুজ্জামান আয়াতুল্লাহ বলেন, মেস বিভিন্ন নামে পরিচিত। মহিলা হোস্টেল, ছাত্রী নিবাস, ছাত্রাবাস, ডরমেটরি, অফিসার মেস ইত্যাদি।

তিনি বলেন, মেস হিসেবে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সবাই। এ কারণে অনেকে মেসে বসবাস করা সত্ত্বেও তা স্বীকার করতে লজ্জা পায়।

মেস বিষয়ক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গ্রাম-গঞ্জের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা ও সৃষ্টি হওয়া ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বেশিরভাগ জীবনে মেসে বসবাস করেছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেস ভাড়ায় অনেক বৈষম্য রয়েছে। ফ্যামিলি বাসা ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় হয় মেস বাসা। এরপরে রয়েছে মেস ভাড়া পাওয়া নিয়ে ঝামেলা। অনেক বাড়িতে মেস ভাড়া দেয় না।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেস সংঘের পক্ষ থেকে ১৩ দফা তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— প্রতি বাড়ি-ফ্ল্যাটে মেসের জন্য স্থান বরাদ্দ, প্রতিটি মেসে পুলিশের পরিদর্শন ও সদস্যদের পরিচয় নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চতকরণ।

মেস ভাড়া স্বাভাবিক করণে বাড়ির মালিকদের উদ্বুদ্ধকরণ, মেস ভাড়ার নীতিমালাকরণ, মেস কেন্দ্রীক অপরাধ রোধ, বাড়ির মালিকদের মেস মেম্বারদের প্রতি সঠিক আচরণ নিশ্চতকরণ, বিভাগীয় শহরের উপকন্ঠে পরিকল্পিত মেস নগরী গড়ে তোলাসহ অন্যান্য।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সৈয়দ আক্তার মিয়াজি, নয়ন মৃধা, মোমেন মেহেদি প্রমুখ।