হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে মেধা, জ্যেষ্ঠতা, সততা ও দক্ষতার প্রাধান্য দিয়ে আংশিক পরীক্ষা প্রথা প্রবর্তন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, পূর্ববর্তী কমিশন ২০১৫ সালে পরিচালক, উপ-পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়। এই পদোন্নতি নিয়ে তখন মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হয়। এই বাস্তবতায় বর্তমান কমিশন পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সর্বজনীন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. শামসুল আরেফিনের স্বাক্ষরে ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি অনুসরণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির দেওয়ার লক্ষ্যে পরীক্ষা গ্রহণের সিলেবাস, মানবণ্টন ও পরীক্ষা পদ্ধতি অনুমোদন সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে জানানো হয়- পরিচালক থেকে মহাপরিচালক, উপপরিচালক থেকে পরিচালক, সহকারী পরিচালক থেকে উপপরিচালক, উপসহকারী পরিচালক থেকে সহকারী পরিচালকসহ সব ক্যাটাগরিতে পদোন্নতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪, দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, সাক্ষ্য আইন ১৮৭২, দণ্ডবিধি ১৮৬০ সহ বিভিন্ন আইন ও বিধি সিলেবাসের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৪০, বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ৩০ এবং জ্যেষ্ঠতায় ৩০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।
এখন থেকে কমিশন প্রতিবছর একবার পদোন্নতির জন্য লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করবে। নৈর্ব্যোক্তিক বা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নপদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ৩ বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও উত্তীর্ণ হতে না পারলে তিনি আর পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবেন না।
প্রণীত নীতিমালা মেধা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা, বিদ্যমান বিধি অনুসারে জ্যেষ্ঠতা এবং সততা ও দক্ষতা নিরূপণে বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নই পদোন্নতির মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি মনে করেন, সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে সম্পূর্ণ নৈর্ব্যেক্তিক প্রক্রিয়ায় প্রতিটি সৎ, দক্ষ এবং মেধাবী কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া উচিত।