ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে যৌন ব্যবসার ফাঁদে ফেলায় কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে স্ত্রীকে যৌনকর্মে নিয়োজিত করায় চান মিয়া (৪২) নামে এক কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জাকির হোসেন। পরে জাকির দা হাতে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরতলীর সতাল পাক্কার মাথায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত চাঁন মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের আমাটি শিবপুর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী চান মিয়া এলাকায় কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে জাকির হোসেন একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, কাঠমিস্ত্রি ও কবিরাজ চান মিয়া তার কাছে যাওয়া রোগীনীদের যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে এলাকার কিছু লম্পট যুবকদের যৌন লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ করে দিতো।একই এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রীকেও একই কাজে ব্যবহার করার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী সতাল পাক্কার মাথা এলাকায় জাকির হোসেন দা দিয়ে কুপিয়ে চান মিয়াকে মারাত্মক আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর জাকির নিজেই দা নিয়ে থানায় গেলে তাকে আটক করা হয় বলে যশোদল ইউপি চেয়াম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন জানিয়েছেন। নিহত চান মিয়ার লাশের ময়না তদন্ত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছে। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আছমা ছাড়াও নিহতের জহুরা নামে আগের এক স্ত্রী রয়েছে। ওসি আছমাকে থানায় নিয়ে তার স্বাক্ষর রেখে মামলা রেকর্ড করেছেন। পরে নিহতের বড় স্ত্রী জহুরা ও ছোট স্ত্রী আছমা মিলিতভাবে থানায় গিয়ে ঘাতক জাকির হোসেন এবং তার ভাই ও বাবাকে আসামি করে মামলা দিতে চাইলেও ওসি তাদের এজাহার রাখেননি। তবে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, চার বছর আগে জাকির বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখতো। কবিরাজ চাঁন মিয়া ঔষধ দিয়ে জাকিরের স্ত্রীকে অন্যদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিতো। এই কারণে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল জাকির। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিপ্লব নামে এক সহযোগীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর দা নিয়ে হামলে পড়ে জাকির। ঘটনার পর পরই ঘাতক জাকিরকে ধরতে তারা একটি পুলিশের বিশেষ টিম গঠন করেন। বিশেষ এই টিমের অভিযানে ঘটনার কিছু পরেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা ঘাতক জাকিরকে আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা-টিও উদ্ধার করা হয় বলে ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান। এছাড়া মামলার ব্যাপারে ওসিকে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ছোট স্ত্রী নিজে থেকেই এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রীকে যৌন ব্যবসার ফাঁদে ফেলায় কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে স্ত্রীকে যৌনকর্মে নিয়োজিত করায় চান মিয়া (৪২) নামে এক কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জাকির হোসেন। পরে জাকির দা হাতে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরতলীর সতাল পাক্কার মাথায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত চাঁন মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের আমাটি শিবপুর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী চান মিয়া এলাকায় কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে জাকির হোসেন একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, কাঠমিস্ত্রি ও কবিরাজ চান মিয়া তার কাছে যাওয়া রোগীনীদের যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে এলাকার কিছু লম্পট যুবকদের যৌন লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ করে দিতো।একই এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রীকেও একই কাজে ব্যবহার করার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী সতাল পাক্কার মাথা এলাকায় জাকির হোসেন দা দিয়ে কুপিয়ে চান মিয়াকে মারাত্মক আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর জাকির নিজেই দা নিয়ে থানায় গেলে তাকে আটক করা হয় বলে যশোদল ইউপি চেয়াম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন জানিয়েছেন। নিহত চান মিয়ার লাশের ময়না তদন্ত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছে। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আছমা ছাড়াও নিহতের জহুরা নামে আগের এক স্ত্রী রয়েছে। ওসি আছমাকে থানায় নিয়ে তার স্বাক্ষর রেখে মামলা রেকর্ড করেছেন। পরে নিহতের বড় স্ত্রী জহুরা ও ছোট স্ত্রী আছমা মিলিতভাবে থানায় গিয়ে ঘাতক জাকির হোসেন এবং তার ভাই ও বাবাকে আসামি করে মামলা দিতে চাইলেও ওসি তাদের এজাহার রাখেননি। তবে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, চার বছর আগে জাকির বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখতো। কবিরাজ চাঁন মিয়া ঔষধ দিয়ে জাকিরের স্ত্রীকে অন্যদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিতো। এই কারণে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল জাকির। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিপ্লব নামে এক সহযোগীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর দা নিয়ে হামলে পড়ে জাকির। ঘটনার পর পরই ঘাতক জাকিরকে ধরতে তারা একটি পুলিশের বিশেষ টিম গঠন করেন। বিশেষ এই টিমের অভিযানে ঘটনার কিছু পরেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা ঘাতক জাকিরকে আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা-টিও উদ্ধার করা হয় বলে ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান। এছাড়া মামলার ব্যাপারে ওসিকে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ছোট স্ত্রী নিজে থেকেই এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।