হাওর বার্তা ডেস্কঃ জগন্নাথপুরে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার শংকায় ভোগছেন নলুয়া হাওরের কৃষকরা। হাওর বাচাঁও সুনামগঞ্জ বাচাঁও আন্দোলনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে গত বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ রোডস্থ জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় এমন শঙ্কার কথা জানালেন নলুয়া হাওরপারের দাসনাগাও গ্রামের কৃষক মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাস।
মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাস বলেন, ‘উপজেলার মইয়ার হাওরের ধান কাটা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ১০/১২ দিনের মধ্যেই পুরো হাওরের ফসল ঘরে তোলার সম্ভাবনা বেশি। এ হাওরের বোরো ধান কাটা যখন শেষ হবে তখনই জেলার অন্যতম হাওর নলুয়া হাওরে ধান কাটার ধুম পড়বে। আর ওই সময় মাছ শিকারের জন্য দুর্বৃত্তরা মইয়ার হাওরের বাঁধ কেটে দিতে পারে।
অনেক বছর ধরেই এ রকমভাবে বাঁধ কাটার ঘটনা ঘটছে।’ তিনি বলেন, ‘মইয়ার হাওরের বাঁধ কেটে দেওয়া হলে নলুয়া হাওরের ফসল পানিতে দ্রুত তলিয়ে যাবে। এরকম পূর্বেও অনেক বছর হয়েছে। নলুয়া হাওরের এখনও ৭৫ ভাগ ফসল কাচাঁ-আধা পাকা রয়েছে।
নলুয়া হাওরের কৃষক নেতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘হাওরের কিছু অংশে অর্থাৎ উঁচু এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। সপ্তাহের মধ্যে পুরো হাওরের ধান কাটার উৎসব শুরু হবে।’ তিনি বলেন, নলুয়া হাওরের কৃষকরা যখন পুরোদমে ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত হয়ে উঠবেন তখন আমাদের পাশের মইয়ার হাওরে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। ওই সময় দূর্বৃত্তরা হাওরের মাছ ধরার জন্য বাঁধ কেটে দেয়। তাই ফসলরক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
হাওর বাচাঁও সুনামগঞ্জ বাচাঁও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ অনেকদিন ধরেই শুনা যাচ্ছে। হাওর সুরক্ষায় সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা প্রশাসনের নিকট লিখিতভাবে জানাবো।
জগন্নাথপুরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘হাওরের ফসলরক্ষায় প্রতিটি বেড়িবাঁধে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। হাওরের কোন ধরনের নাশকতা বরদাশত করা হবে না। ফসলরক্ষায় আমরা প্রস্তুুত রয়েছি।