হাওর বার্তা ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে হঠাৎ বৃষ্টি হাওরের ফসল ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকের মনে কিছুটা শঙ্কা তৈরি করেছিল। কিন্তু এখনও প্রকৃতি সহায় আছে। হাওরের সোনার ফসল পাকতে শুরু করেছে। চারদিকে বৈশাখী আমেজের সুবাতাস বইছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২০/২৫ দিনের মধ্যে হাওরের ৮০ শতাংশেরও বেশি পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া কৃষক কাটিয়ে ওঠতে পারবে গত বছরের ধকল। এবার শুধু অপেক্ষার পালা। গত বছর অকাল বন্যা ও ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়মের ফলে হাওরের প্রায় শতভাগ ফসলহানির ঘটনা ঘটেছিল। ফসল হারিয়ে হাওরবাসীকে নির্ভর করতে হয়েছিল সরকারি বেসরকারি ত্রাণ সহায়তার ওপর। এবার হাওরে ত্রাণের বদলে ধানের জন্য অপেক্ষা করছেন কৃষক।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্রসোনার থাল হাওরে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ধান কাটা শুরু হয়েছে বলে দেখা যায়। ওইদিন কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরে রুবেল আহমেদ নামের এক কৃষকের এক একর জমির ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধান কাটার মধ্য দিয়ে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ওই হাওরের একটি মাঠে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র প্রদর্শনীর মাঠ দিবস ও আনুষ্ঠানিকভাবে হাওরের বোরো ধান কাটার উৎসব উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসাহিদ তালুকদার, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, সাংবাদিক সালেহ আহমদ প্রমুখ। পরে সেখানে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘ধর্মপাশা উপজেলায় ৩১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি পাকা ধান কাটতে পারবে কৃষক।