হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই দিনের বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের অনেক হাওর রক্ষা বাঁধের মাটি দেবেছে। কোথাও কোথাও ফাটলও দেখা দিয়েছে বাঁধে। জেলার শাল্লা উপজেলার ভার হাওরের হরিনগরের বাঁধ এবং ছায়ার হাওরের জুয়ারিয়া বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ‘যেসব বাঁধে কমপেকশন কম হয়েছে এবং ঘাস লাগানো হয়নি। সেই বাঁধগুলোতেই এমন অবস্থা হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার ৩৮ টি বৃহৎ হাওরে এবার প্রায় ১৪’শ কিলোমিটার বাঁধ এবং ১১৫ টি ক্লোজার বা ভাঙনে বাঁধের কাজ হয়েছে। কোন কোন হাওর রক্ষা বাঁধে নিয়ম মোতাবেক কমপেকশন হয়নি। ঘাস লাগানো হয়নি। শুক্রবার এবং শনিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টিতে এসব বাঁধই দেবেছে। কয়েকটি বাঁধে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের জুয়ারিয়া বাঁধে এবং ভা-বিলের হরিনগর বাঁধের একটি অংশে ফাটল দেখা দেবার কথা জানিয়েছেন শাল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি পিসি দাস। ঐ অংশের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)’র লোকজন শনিবার আবার বাঁধে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। পিসি দাস জানান, শাল্লার ৯৫ শতাংশ বাঁধেই ঘাস লাগানো হয়নি। এ কারণে বৃষ্টি হলে বাঁধে সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেলার অন্যান্য উপজেলার কিছু বাঁধেও এখনো ঘাস লাগানো হয়নি।
পাউবো’র সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন,‘বৃষ্টিতে যেসব বাঁধে কমপেকশন কম হয়েছিল, সেগুলো কিছুটা দেবেছে, আমরা সেগুলোতে কাজ করাচ্ছি। যেসব বাঁধে ঘাস লাগানো হয়নি, সেগুলোতে প্রয়োজনে ঘাসের বীজ এনে ছিটানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়ার দাবি, তাঁর তত্বাবধানে থাকা উপজেলাগুলোর মধ্যে জামালগঞ্জে বাঁধের ৯০ শতাংশ অংশে, তাহিরপুরে ৮৫ শতাংশ, ধর্মপাশায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারায়ও ৮৫ শতাংশ অংশে ঘাস লাগানো হয়েছে।
পাউবো’র সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২’এর নির্বাহী প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার বলেন, তাঁর তত্বাবধানে থাকা বাঁধগুলোর মধ্যে জগন্নাথপুরে ৬৫ শতাংশ, ছাতকে ৬০ শতাংশ এবং দিরাই-শাল্লায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাঁধে ঘাস লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন,‘বৃষ্টি হওয়ায় কমপেকশন কম হওয়া দুর্বল বাঁধগুলেরা মাটি দেবেছে এবং এগুলোতে এখন পিআইসিদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, জুয়ারিয়া এবং হরিনগর বাঁধে শাল্লার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীকে সকালে পাঠানো হয়েছে। ওখানে কাজ হচ্ছে।