ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে বৈশাখের ধান তোলার প্রস্তুতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮
  • ২৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে এখন চলছে বৈশাখের ধান তোলার প্রস্তুতি। বাংলা সনের নতুন এ মাস আসবার আরো বাকী ১২ দিন। তবে তাদের এ প্রস্তুতি বর্ষবরণের জন্য নয়, নতুন ধান ঘরে তোলার জন্য। গত বছর সোনার ফসল হারিয়ে অনেক শঙ্কা মাথায় নিয়ে চলতি বছরে ভাদ্র আশ্বিন মাসে আবারও নতুন ধানের চারা রোপন করেন কৃষকরা। এ চারা গাছ এখন ধান গাছে রূপ নিয়েছে। গজিয়েছে কাঁচা ধানও। যা আশা জাগিয়েছে কৃষকের মনে। আর এই আশায় উপজেলার প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে এখন নতুন ধান তোলার প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ধান বোঝাই করবার জন্য বস্তা, ধান বহনের জন্য টুকরি, শুকানোর জন্য ধানতলার প্রন্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিটি কৃষক পরিবার।

রবিবার ছিলো উপজেলার পাগলা বাজারের হাটের দিন। বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে ধান বুঝাইয়ের টুকড়ি ও বিছানোর থ্রিপল উঠতে দেখা গেছে। দোকানদাররা জানান, বাজারের বিক্রি এখনো পুরোপুরি বাড়েনি। তবে সময় মতো বৃষ্টি হওয়ায় আর এখনো বন্যার পানি আসার কোনো আশঙ্কা না থাকায় মনে হচ্ছে ফসল কৃষকরা উঠাতে পারবে। ফসল উঠা মানেই আমাদের পণ্য বিক্রি হবে। বাজারে ক্রেতা বাড়বে। গত দু’বছর তেমন ভালো ব্যবসাও হয়নি। এ বছর একটু আশা করেছি।

অপরদিকে ধান শুকানোর জন্য ধানতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা। এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আশার চেয়ে বেশি ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। এই আশায় ধানতলাও তৈরি করে চলেছেন তারা। তবে, তাদের এই কর্মযজ্ঞে কিছুটা বাধা দিচ্ছে বৃষ্টি। দরগাপাশা ইউনিয়নের খাবিলাখাই গ্রামের কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি এবছর ফসল পাবো। আল্লাহ আমাদের নিরাশ করবেন না।’

পশ্চিম পাগলার কান্দিগাঁও গ্রামের আদুল খালিক বলেন, ‘আমরা ধানতলা তৈরি করছি। আশা আছে ধান পাবো। কিন্তু দু’দিন ধরে যে বৃষ্টি আসে তাতে কিছুটা শঙ্কাও কাজ করছে।’পশ্চিম বীরগাঁওয়ের গ্রামের সিরাজ মিয়া বলেন, ‘বাজার থাইক্যা কিছু উড়া কিনছি। আরো কিনমু। তেরেফাল কিনন লাগবো। খলা তুলার কামও করেরাম। অনে যদি আল্লায় দিয়া যাইন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জের প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে বৈশাখের ধান তোলার প্রস্তুতি

আপডেট টাইম : ১২:১২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে এখন চলছে বৈশাখের ধান তোলার প্রস্তুতি। বাংলা সনের নতুন এ মাস আসবার আরো বাকী ১২ দিন। তবে তাদের এ প্রস্তুতি বর্ষবরণের জন্য নয়, নতুন ধান ঘরে তোলার জন্য। গত বছর সোনার ফসল হারিয়ে অনেক শঙ্কা মাথায় নিয়ে চলতি বছরে ভাদ্র আশ্বিন মাসে আবারও নতুন ধানের চারা রোপন করেন কৃষকরা। এ চারা গাছ এখন ধান গাছে রূপ নিয়েছে। গজিয়েছে কাঁচা ধানও। যা আশা জাগিয়েছে কৃষকের মনে। আর এই আশায় উপজেলার প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে এখন নতুন ধান তোলার প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ধান বোঝাই করবার জন্য বস্তা, ধান বহনের জন্য টুকরি, শুকানোর জন্য ধানতলার প্রন্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিটি কৃষক পরিবার।

রবিবার ছিলো উপজেলার পাগলা বাজারের হাটের দিন। বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে ধান বুঝাইয়ের টুকড়ি ও বিছানোর থ্রিপল উঠতে দেখা গেছে। দোকানদাররা জানান, বাজারের বিক্রি এখনো পুরোপুরি বাড়েনি। তবে সময় মতো বৃষ্টি হওয়ায় আর এখনো বন্যার পানি আসার কোনো আশঙ্কা না থাকায় মনে হচ্ছে ফসল কৃষকরা উঠাতে পারবে। ফসল উঠা মানেই আমাদের পণ্য বিক্রি হবে। বাজারে ক্রেতা বাড়বে। গত দু’বছর তেমন ভালো ব্যবসাও হয়নি। এ বছর একটু আশা করেছি।

অপরদিকে ধান শুকানোর জন্য ধানতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা। এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আশার চেয়ে বেশি ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। এই আশায় ধানতলাও তৈরি করে চলেছেন তারা। তবে, তাদের এই কর্মযজ্ঞে কিছুটা বাধা দিচ্ছে বৃষ্টি। দরগাপাশা ইউনিয়নের খাবিলাখাই গ্রামের কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি এবছর ফসল পাবো। আল্লাহ আমাদের নিরাশ করবেন না।’

পশ্চিম পাগলার কান্দিগাঁও গ্রামের আদুল খালিক বলেন, ‘আমরা ধানতলা তৈরি করছি। আশা আছে ধান পাবো। কিন্তু দু’দিন ধরে যে বৃষ্টি আসে তাতে কিছুটা শঙ্কাও কাজ করছে।’পশ্চিম বীরগাঁওয়ের গ্রামের সিরাজ মিয়া বলেন, ‘বাজার থাইক্যা কিছু উড়া কিনছি। আরো কিনমু। তেরেফাল কিনন লাগবো। খলা তুলার কামও করেরাম। অনে যদি আল্লায় দিয়া যাইন।