হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জে কিশোরী বিউটি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত বাবুলকে আটকের দাবিতে তার ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনা সম্প্রতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামে বাবুল নামের ওই বখাটে কিশোরী বিউটিকে ধষর্ণের পর খুন করে লাশ ফেলে রেখে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষকের মা ও এক সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত আসামী বাবুল এখনো পলাতক রয়েছে। এ প্রসঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, গত ১৭ মার্চ রাতে পাশের থানায় নানার বাড়ি থেকে উধাও হয় বিউটি। পরদিন বেলা সাড়ে ১১টায় হাওরে তার লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরে ৫টির মত আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওইদিন বাড়িতে নিয়ে বিউটির লাশ দাফন করে পরিবারের লোকজন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বাবুল গত ২১ জানুয়ারি কিশোরী বিউটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়, ওই ঘটনার ১৫/১৬ দিন পরে বিউটি বাড়ি ফিরে আসলে বিউটির বাবা মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে বাবুল, তার মা ও আরো একজনকে আসামি করে ২ মার্চ কোর্টে মামলা করে। পরে কোর্টের আদেশে থানায় ৪ মার্চ মামলাটি লিপিবদ্ধ করে। এরপরেই এই পরিস্থিতি। পুলিশ ১৯ মার্চ বাবুলের মা ও সন্দেহভাজন হিসেবে ইসমাইল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাবুল এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ধর্ষণকারী বাবুলের ছবি দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন অনেকে। বিউটির পড়ে থাকা নিথর লাশের ছবির সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে ওই অভিযুক্ত বাবুলের ছবি। দুই বছর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা, তারপরে সেই ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি আলোড়ন তুলেছিল সামাজিক মাধ্যমে।