বর্ষায় মহাবিপদের আশঙ্কা ১৩০০০ কি.মি. বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষা মৌসুম সমাগত। সামান্য বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যায় দেশে ১৯ হাজার ২২৮ কিলোমিটার বাঁধ। গত বছর ১১০০ কি.মি. বিলিন হয়েছে। এখনো ১৩ হাজার কি.মি. বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৯৪ কি.মি., নির্মাণ করা হয়েছে ৩৬৪ কি.মি., নদীর তীর সংরক্ষণ করা হয়েছে ২৬৭ কি.মি., নদী ড্রেজিং ও পুন: খনন করা হয়েছে ৪২৪ কি.মি., সেচ খাল খনন ও পুন: খনন করা হয়েছে ৪৯৬ কি.মি. হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার নির্মাণ ৫২৯ কি.মি. ক্লোজার নির্মাণ হয়েছে ১৩টি এবং রাস্তা নির্মাণ হয়েছে ৪০ কি,মি। গত বছরের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন ও বন্যার দুর্ভোগের কথা ভোলেনি সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ।

বর্ষা মৌসুমে দেশে প্রতিবছরই বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়। দেশের নদনদীর পানির ৯৩ শতাংশই আসে উজানের দেশগুলো অর্থাৎ নেপাল, ভারত এবং ভুটান থেকে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং মেঘনা অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের ওপরই বাংলাদেশে বন্যা হবে কিনা সেটি নির্ভর করে। ১৯৮৮ সালের আগস্ট- সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় বাংলাদেশের প্রায় ৮২,০০০ বর্গ কি.মি. এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ৬০ ভাগ এলাকারও বেশি। সেই বন্যায় রাজধানী ঢাকাও প্লাবিত হয়েছিল। বন্যা স্থায়িত্ব ছিল ১৫ থেকে ২০ দিন। সেই সময় দেশের বেশিরভাগ এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল। সাধারনত প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬ হাজার বর্গ কি.মি. এলাকা অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখন্ড বন্যা কবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে দেশের ৫৫ শতাংশের বেশি ভূখন্ড বন্যার কবলে পড়ে। এবার আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামীতে কমপক্ষে ৭০ ভাগ এলাকায় বন্যার কবলে পড়বে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মতে, ইতিমধ্যে বাঁধ মেরামত ও সংস্কার উন্নয়ন করা হয়েছে ১ হাজার ৬৯৪ কি.মি., বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ৩৬৪ কি.মি., নদীর তীর সংরক্ষণ করা হয়েছে ২৬৭ কি.মি., নদী ড্রেজিং ও পুন: খনন করা হয়েছে ৪২৪ কি.মি., সেচ খাল খনন ও পুন:খনন করা হয়েছে ৪৯৬ কি.মি.। বাস্তবে এ হিসাব কোথাও কোথাও মিলছে না।

এদিকে সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণসহ সারাদেশে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণ, কম দরে মাটি কেটে বেশি দরে বিল তুলে নেয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক জেলায় বাঁধ নিমার্ণের কাজ তোড়া তালি দিয়ে চলছে। বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) সেলিম গাজী সাংবাদিককে বলেন, গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোবাল ফ্লাড এওয়ারসেন সিস্টেম-এর (গোফাস) তথ্য আগাম দেওয়ার কারণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ওসব এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ দিয়েছে। সে কারণে বন্যা ও বাঁধ ভাঙ্গনের বিষয়টি এবার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ২৯টি নদ-নদীর ৫৪টি স্থানে ২৪ ঘন্টা(১ দিন), ৪৮ ঘন্টা(২ দিন), ৭২ ঘন্টা (৩ দিন), ৯৬ ঘন্টা (৪ দিন) এবং ১২০ ঘন্টা (৫ দিন) পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য ভিত্তিক আগাম বন্যা পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে ১০ দিন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক সম্ভাব্য আগাম পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট স্থানের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় পানি সমতল হিসাব করা হয়। পাইলট ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কয়েকটি স্থানে পরীক্ষামূলক ৪৮ ঘন্টার আগাম ফ্লাস ফ্লাডগ্ধ পূর্বাভাস দেয়া হয়। চারটি স্থানে প্রকল্প বা অবকাঠামো ভিত্তিক পরীক্ষামূলক ৫ দিন পর্যন্ত আগাম বন্যা পূর্বাভাস দেয়া হয়।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং নদী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত সাংবাদিককে বলেন, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোবাল ফ্লাড অ্যাওয়ারনেস সিস্টেম-এর (গোফাস) তথ্য বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে। গত বছরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই নদী দিয়ে এখন ২০ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়। গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনার প্রবাহ যদি একসঙ্গে হয় তাহলে দেশের মধ্যাঞ্চলের জন্যও মহাবিপদ, যা ১৯৮৮ সালে হয়েছিল। আর যদি কোনোভাবে সাইক্লোন যুক্ত হয়, তাহলে আসলেই মহাবিপদ আসার আশঙ্কা দেখা দিবে আবার নাও হতে পারে।

বুয়েটের পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক উম্মে কুলসুম নাভেরা সাংবাদিককে বলেন, ১৯৮৮ সালে যেটা হয়েছিল যে, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র দুটো নদীর পানির উচ্চতা একসঙ্গে বেড়েছিল। বন্যার গ্রহণযোগ্য পূর্বাভাস দিতে পারলেও এখন প্রয়োজন ব্যবস্থাপনায় জোর দেয়া। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোকে রক্ষার জন্য এখন সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। কারণ আমাদের বাংলাদেশে সিভিয়ার মেইনটেনেন্সের সমস্যা এই বাঁধগুলোর ক্ষেত্রে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের ৬১% ও ১৯৯৮ সালে ৬৮% এলাকা পানিতে তলিয়ে গেলেও এবার এখন পর্যন্ত এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়নি। সে জন্য আমাদের এগুলো নিয়ে কাজ করার দরকার।

পানি উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৯ হাজার ২২৮ দশমিক ৪৫৪ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের মধ্যে ৭ হাজার ২শ’ কি.মি. ঝুঁকিপূর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭০টি জোনের মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৮ হাজার ৪২৯ কি.মি., উপক‚লীয় ৪ হাজার ৭৫০ কি.মি., ডুবন্ত দুই হাজার ৪৩৬ কি.মি. এবং সেচ খালের ডাইক ৩ হাজার ৬১২ কি.মি. বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৩৮ কি.মি. বেড়িবাঁধের ওপর রাস্তা নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি। এক হাজার ৩২৩ কি.মি. বেড়িবাঁধের ওপর রাস্তা নির্মাণ করে দখল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা বেড়িবাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ করে দখল করেছে ৮৭০ কিলোমিটার। এসব বাঁধ উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে পারেনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিককে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬৯৪ কি.মি. মেরামত ও সংস্কার উন্নয়ন, ৩৬৪কি.মি. বাঁধ নির্মাণ, ২৬৭ কি.মি. নদীর তীর সংরক্ষণ, ৪২৪ কি.মি. নদী ড্রেজিং ও পুন: খনন এবং ৪৯৬ কি.মি. সেচ খাল খনন ও পুন:খনন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান সাংবাদিককে বলেন, ১৯ হাজার ২২৮ কি.মি. বেড়িবাঁধের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং চলাচল অযোগ্য বাঁধগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ চলছে। গত ৫ বছরে ১৫ হাজার ৫০৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৮াট প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে এবং আরো ২০টি প্রকল্পের কাজ জুন মাসে শেষ হবে। এ ছাড়া নতুন করে ১০৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে কত কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ আছে তা কখনো কেউ জানেন না। ষাটের দশকে নির্মাণ করা এসব বাঁধ এখন নামেই টিকে আছে। আবার অনেক জেলায় বাঁধের কোনো অস্তিত্বই নেই।

আশির দশকে নির্মাণ করা কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরের রাজারহাট-থেতরাই-গুনাগাছ-বজরা বাঁধ অনেক স্থানে অস্তিত্ব নেই। আবার গুনাইগাছ থেকে চিলমারী এলাকায় বাঁধ রয়েছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ দখলে থাকা বেড়িবাঁধ উদ্ধারে মামলা থাকলেও সেই এলাকার বাঁধগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হচ্ছে না। গত বন্যায় সারাদেশে ৪৫১টি স্থানে ১১০০ কিলোমিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়। এসব বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিল লাখ লাখ গৃহহীন মানুষ। এবার এসব বাঁধ ভাঙ্গনের আশঙ্কা রয়েছে। এগুলো প্রথমিকভাবে মেরামতের ব্যবস্থার জন্য আগাম প্রস্তুতি এখনো শুরু করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গত বছর যেসব জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে, ঢাকা পাউব বিভাগ-২, ঢাকা সাভার ও গাজীপুরে ৩টি স্থানে ১১ কি.মি. বাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। ফরিদপুর, সদর চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা উপজেলা, রাজবাড়ী সদর, বালিয়া কান্দি, ও পাংশা উপজেলায়, কুষ্ঠিয়া সদর, কুমারখালী ও খোকসা জোনে মোট ৩১টি স্থানে ৫ কি.মি.বাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়েছিল। ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর, আখাউড়া, ফেনী, ফুলগাজী, পশুরাম, সোনাগাজী, নোয়াখালী, কোম্পানীগঞ্জ এবং হাতিয়া এলাকায় ২৪টি স্থানে ৩ কি.মি. হাইড্রলিক ও স্ট্রাকচার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিলেট সদর, কানাঘাট, হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, মাধবপুর, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, জুড়ী এবং বড়লেখা এলাকায় ৩৩টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে হাজার হাজার ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। রাজশাহী জোনের বগুড়া, সারিয়াকান্দি, ধুনট, সিজারগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি ও শাহাজানপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জ এলাকায় ১০টি স্থানে ২ কি.মি. বাঁধ বিলিন হয়।

উত্তরাঞ্চলের রংপুর, গংগাচড়া, লালমনিরহাট সদর উপজেলা, হাতিবান্ধা, কুড়িগ্রাম জেলা সদর, উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার থেকে গুনাইগাছ পর্যন্ত ৫ কি.মি. বাঁধ তিস্তা নদীতে বিলিন হয়েছে। রাজাহাট. চিলমারী, রোৗমারী, রাজিবপুর, ফুলবাড়ি, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারি, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলবাড়ি, সাঘাটা. ডালিয়া নীলফামারী, লালমনিহাট, ডিমলা, জলঢাকা ও হাতিবান্ধা এলাকার ৯৬টি স্থানে ২০ কি.মি. দীর্ঘ বাঁধ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা, দাকোপ. বটিয়াঘাটা, সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা, আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিয়া উপজেলা মোট ৪১টি স্থানে ৯ কি.মি. দীর্ঘ বাঁধ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম. আনোয়ারা, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, সদ্বীপ, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, কাক্সবাজার, কুতুবদীয়া, রামু, টেকনাফ এবং মহেশখালীসহ ১১৪টি স্থানে ৭৬ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। দক্ষিণে বরিশাল সদর, বাবুগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, গৌরনদী, মুলাদী, উজিপুর, আগৈলঝড়া, বরগুনা সদর উপজেলা, বামনা, পাথরঘাটা, বেতাগী ও আমতলী, পটুয়াখালী সদর উপজেলা, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙ্গাবালী এলাকায় ৯৯টি স্থানে ১৭ কি.মি. বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এসবের মধ্যে অনেক বাঁধ এখনও মেরামত ও সংস্কার করা হয়নি বলে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর