ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ ২০১৮
  • ২৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জগন্নাথপুরের পিংলার হাওরের একাংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে গ্রহণ না করায় হাওরের ফসল অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন পিংলার হাওরের প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ অংশ দিয়ে হাওরের ফসলডুবির আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। গতকাল বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার পিংলার হাওরের নলজুর নদীর পাড় থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার এলাকায় কোন বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। হাওর ঘেষা নলজুর নদীর নাব্যতা হারানোর কারণে হাওরে পানি প্রবেশের শঙ্কা থাকছেই। যে কারণে হাওরের ফসলহানির সংশয় দেখা দিয়েছে।

কৃষকরা জানান, উপজেলার তৃতীয় বৃহৎ পিংলার হাওরের ফসলরক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ শুরু করে। জগন্নাথপুর পৌরশহরের শশ্মাটঘাট এলাকা থেকে নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতায় পিংলার হাওরস্থ ৬২ নম্বর পিআইসির শেষ প্রান্ত পৌর এলাকার চিমিতপুর নলজুর নদীর পাড় হইতে পাটলী ইউনিয়নের আলীপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা স্থানে এবার পাউবো বেড়িবাঁধের প্রকল্প গ্রহণ করেনি।
কৃষকদের অভিযোগে অপরিকল্পিকভাবে অনেক প্রকল্প গ্রহণ করে পাউবো কাজ শুরু করলেও গুরুত্বপুর্ণ ওই স্থানে প্রকল্প না নেয়ায় পিংলার হাওরটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক নামর মিয়া জানান, পিংলার হাওরটি উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাওর। এ হাওরের ফসল রক্ষায় পুরোপুরি বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় হাওরটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তিনি দ্রুত অরক্ষিত স্থানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। আরেক কৃষক সাদেক মিয়া জানান, অপরিকল্পিতভাবে অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মিত হচ্ছে অথচ পিংলার হাওরের ঝুকিঁপূর্ণ স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে নেই। এটি সত্যিই হতাশাজনক। অবিলম্বে অরক্ষিত স্থানে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষকদের বাঁচানোর আহবান জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন জানান,কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলায় সভা করে ওই স্থানে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। জেলা থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, পিংলার হাওরে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। এখন হাওরের আরো কিছু জায়গায় বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকরা দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। তাদের নিকট থেকে সুরাহা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরের প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি

আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জগন্নাথপুরের পিংলার হাওরের একাংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে গ্রহণ না করায় হাওরের ফসল অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন পিংলার হাওরের প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ অংশ দিয়ে হাওরের ফসলডুবির আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। গতকাল বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার পিংলার হাওরের নলজুর নদীর পাড় থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার এলাকায় কোন বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। হাওর ঘেষা নলজুর নদীর নাব্যতা হারানোর কারণে হাওরে পানি প্রবেশের শঙ্কা থাকছেই। যে কারণে হাওরের ফসলহানির সংশয় দেখা দিয়েছে।

কৃষকরা জানান, উপজেলার তৃতীয় বৃহৎ পিংলার হাওরের ফসলরক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ শুরু করে। জগন্নাথপুর পৌরশহরের শশ্মাটঘাট এলাকা থেকে নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতায় পিংলার হাওরস্থ ৬২ নম্বর পিআইসির শেষ প্রান্ত পৌর এলাকার চিমিতপুর নলজুর নদীর পাড় হইতে পাটলী ইউনিয়নের আলীপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা স্থানে এবার পাউবো বেড়িবাঁধের প্রকল্প গ্রহণ করেনি।
কৃষকদের অভিযোগে অপরিকল্পিকভাবে অনেক প্রকল্প গ্রহণ করে পাউবো কাজ শুরু করলেও গুরুত্বপুর্ণ ওই স্থানে প্রকল্প না নেয়ায় পিংলার হাওরটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক নামর মিয়া জানান, পিংলার হাওরটি উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাওর। এ হাওরের ফসল রক্ষায় পুরোপুরি বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় হাওরটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তিনি দ্রুত অরক্ষিত স্থানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। আরেক কৃষক সাদেক মিয়া জানান, অপরিকল্পিতভাবে অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মিত হচ্ছে অথচ পিংলার হাওরের ঝুকিঁপূর্ণ স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে নেই। এটি সত্যিই হতাশাজনক। অবিলম্বে অরক্ষিত স্থানে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষকদের বাঁচানোর আহবান জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন জানান,কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলায় সভা করে ওই স্থানে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। জেলা থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, পিংলার হাওরে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। এখন হাওরের আরো কিছু জায়গায় বাঁধ নির্মাণের জন্য কৃষকরা দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। তাদের নিকট থেকে সুরাহা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।