নেমপ্লেটসহ নিহতের নাম। সুনসান নীরবতা। কোলাহলমুক্ত। চিরনিদ্রায় শায়িতদের শেষ ঠিকানা। কবরস্থানের পরিবেশ তো এমনই। তবে এ রকম কবরস্থান শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই হয়। ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসডেল পেট সেমিটারি। এখানে কোনো মানব নয়, কবর দেওয়া হয় পোষাপ্রাণীদের।
পশুপ্রেমীরা জীবিত অবস্থায় দারুণ ভালবাসেন তার পছন্দের প্রাণীকে, ব্যাপারটা তেমন নয়। বরং কোনো কারণে যদি ওই প্রাণীটি মারা যায় তবে যথাযথ সম্মান দিয়েই প্রিয় প্রাণীকে কবরস্থ করেন তারা। মানুষ নানা ধরনের প্রাণী লালন-পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে কুকুর, বিড়াল, পাখি, খরগোশ, ঘোড়া, সরীসৃপ, বানর, সিংহসহ নানাপ্রকার পোষাপ্রাণী।
পোষাপ্রাণী লালন-পালনের প্রচুর সংবাদ পাওয়া গেলেও আদরের পশুটি মৃত্যুবরণ করলে মালিকরা কি করেন তা অনেক সময়ই জানা যায় না। সংবাদটি তাদের জন্য। মৃত্যুর পর মালিকরা তাদের আদরের প্রাণীকে নিয়ম মেনে করব দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছে পোষাপ্রাণীদের সবচেয়ে বড় কবরস্থান। ১৮৯৬ সালে হার্টসডেল পেট সেমিটারি প্রতিষ্ঠা করেন স্যামুয়েল জনসন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কবরস্থান (পোষাপ্রাণীদের)। এখানে নানা ধরনের প্রাণী মিলে কবর দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার পোষাপ্রাণীকে।
কবর দেওয়া প্রাণীদের মধ্যে এখানে সমাহিত করা হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত হাজার খানেক যোদ্ধা কুকুরকে। এখানে রয়েছে দেশটির প্রথম কুকুর সমাধিও। এ ছাড়া ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কুকুর সিরিসাকেও এই কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।