ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা সড়কে প্রাণ হারালেন ২ মোটরসাইকেল আরোহী গত অর্থবছরে দেশে উৎপাদন ৪২ হাজার টন কমল অত্যধিক তাপপ্রবাহ, নাব্যতা সংকটসহ নদী দূষণে অভ্যন্তরীণ নদী মুখি হচ্ছে না ইলিশ পিরোজপুরে ব্যস্ত সড়কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া নড়বড়ে কাঠের ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় শিশুরা হাসনাতকে অভিবাদন জানালেন সারজিস জুলাইকে অস্বীকার করে শান্তিতে থাকার সুযোগ নেই : আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাই গ্রেপ্তার শুটিং সেটে মাথায় গুরুতর আঘাত, কেমন আছেন তটিনী পা দিয়ে লিখে হাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষায় মানিকের চমক

দোহায় বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়ানোর বার্তা দিলেন ড. ইউনূস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩ বার

রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের প্রত্যাবাসনে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক, তরুণ-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দেখা যায়। বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ থেকে শুরু হয়ে এটি পরিণত হয় সুবিচার, সুশাসন ও জবাবদিহিতার জন্য এক দেশব্যাপী আন্দোলনে। এটি ছিল এক প্রজন্মের সম্মিলিত আহ্বান—মর্যাদা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের জন্য।

অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তখনই গড়ে উঠতে পারে, যখন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

পৃথিবী নানা সংকটে জর্জরিত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ, সহনশীল, সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যৎ রেখে যেতে হবে—যেটি ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে গঠিত হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্বজনীন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতার ইতোমধ্যেই টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল ভবিষ্যৎ গঠনে দূরদর্শিতা ও সংকল্প প্রদর্শন করেছে।

এসময় সম্মেলন ৬টি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। সেগুলো হলো— আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ, সামাজিক ব্যবসা প্রসার, তরুণদের নেতৃত্বে প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, উন্নত দেশগুলোর নৈতিক দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা এবং শূন্য-লাভ নির্ভর সামাজিক ব্যবসা ও শূন্য বর্জ্য নির্ভর জীবনধারার প্রচলন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

দোহায় বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়ানোর বার্তা দিলেন ড. ইউনূস

আপডেট টাইম : ০৫:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের প্রত্যাবাসনে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক, তরুণ-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দেখা যায়। বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ থেকে শুরু হয়ে এটি পরিণত হয় সুবিচার, সুশাসন ও জবাবদিহিতার জন্য এক দেশব্যাপী আন্দোলনে। এটি ছিল এক প্রজন্মের সম্মিলিত আহ্বান—মর্যাদা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের জন্য।

অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তখনই গড়ে উঠতে পারে, যখন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

পৃথিবী নানা সংকটে জর্জরিত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ, সহনশীল, সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যৎ রেখে যেতে হবে—যেটি ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে গঠিত হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্বজনীন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতার ইতোমধ্যেই টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল ভবিষ্যৎ গঠনে দূরদর্শিতা ও সংকল্প প্রদর্শন করেছে।

এসময় সম্মেলন ৬টি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। সেগুলো হলো— আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ, সামাজিক ব্যবসা প্রসার, তরুণদের নেতৃত্বে প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, উন্নত দেশগুলোর নৈতিক দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা এবং শূন্য-লাভ নির্ভর সামাজিক ব্যবসা ও শূন্য বর্জ্য নির্ভর জীবনধারার প্রচলন।