ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাচিভাঙ্গা বেড়িবাঁধের অনিয়ম-কাজ শেষ হয়নি এখনো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮
  • ৩৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব পাগলা ও দরগাপাশা ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ নিয়ে কাচিভাঙ্গা বেড়িবাঁধ। কাজ চলছে পূর্ব পাগলা ইউপি’র অন্তর্গত ৯ নং পিআইসির মাধ্যমে। এই পিআইসির সভাপতি ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমন। বাঁধের কাজের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রায় পেরিয়ে যাবার সময় এগিয়ে এলেও এখনো শেষ হয়নি এ প্রকল্পের কাজ। পিআইসির সভাপতি ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমন বলেছেন, দ্রুতই কাজ শেষ করে ফেলবেন তিনি। কিন্তু এলাকার কৃষকরা বলছেন, মঙ্গলবার থেকে বৈরি আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি পড়ে তাহলে মাটি আনা সম্ভব হবে না। বাঁধ অরক্ষিত থেকে যাবে।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের অন্তর্গত ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের মোট কাজের বিভিন্ন খন্ডাংশে প্রায় সহস্রাধিক ফুটের মাটি ভরাটের কাজ বাকী আছে। মরাটিলার উত্তর দিক থেকে বেশ কিছু অংশ এবং আবদুর রওফ মিয়ার বাড়ি থেকে ডিগারকান্দি গ্রাম সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গায় মাটি একেবারেই পড়েনি। বাঁধের স্লোপের পরিমাণ কম, বৃষ্টি এলে বাঁধের মাটি ধসে বাঁধ ভাঙ্গার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
এছাড়াও দরগাপাশা ইউপি’র অন্তর্গত ০১ নং পিআইসির সভাপতি সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্যা কবিতা দাসের বেড়িবাঁধের কাছাকাছি বিপজ্জনক জায়গায় একদম খাড়া স্লোপ থাকায় এ অংশে আরো কাজ করানোর দাবি করেন স্থানীয়রা।

অপরদিকে, একই প্রকল্পের নোয়াগাঁও সংলগ্ন যে জায়গায় সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে সে জায়গাটিই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। বাঁধের কাজে বেশ কিছু জায়গার কাছ থেকে মাটি আনা হয়েছে। স্লোপের পরিমাণও কম। এ ব্যাপারে পিআইসি সভাপতি কবিতা দাসের স্বামী বলেন,‘আমরা বাঁধের কাছ থেকে মাটি আনি নি। দূর থেকে মাটি এনে এখানে রেখেছি। তারপর দুই কাটায় মাটি বাঁধে তুলেছি। তিনি তার কাজে কোনো অনিয়ম নেই বলেও দাবি করেছেন।

হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক মিলন নিজের ফেসবুক পোস্টে ‘কাচিভাঙ্গা হাওরে- হাওর বাঁধের সাতকাহন’ শিরোনামে অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। মিলন এ প্রতিবেদককে বলেন,‘ নোয়াগাঁও এলাকার ভাঙ্গা অংশটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দও বেশি। স্লোপ একেবারে কম। আর ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের হাজার ফুটের কাজ বাকী আছে। এটা চলমান। রোববারে ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, দ্রুত কাজ শেষ করব। তবে গতকাল মঙ্গলবার বার বার তাঁর ফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কাচিভাঙ্গা বেড়িবাঁধের অনিয়ম-কাজ শেষ হয়নি এখনো

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব পাগলা ও দরগাপাশা ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ নিয়ে কাচিভাঙ্গা বেড়িবাঁধ। কাজ চলছে পূর্ব পাগলা ইউপি’র অন্তর্গত ৯ নং পিআইসির মাধ্যমে। এই পিআইসির সভাপতি ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমন। বাঁধের কাজের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রায় পেরিয়ে যাবার সময় এগিয়ে এলেও এখনো শেষ হয়নি এ প্রকল্পের কাজ। পিআইসির সভাপতি ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমন বলেছেন, দ্রুতই কাজ শেষ করে ফেলবেন তিনি। কিন্তু এলাকার কৃষকরা বলছেন, মঙ্গলবার থেকে বৈরি আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি পড়ে তাহলে মাটি আনা সম্ভব হবে না। বাঁধ অরক্ষিত থেকে যাবে।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের অন্তর্গত ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের মোট কাজের বিভিন্ন খন্ডাংশে প্রায় সহস্রাধিক ফুটের মাটি ভরাটের কাজ বাকী আছে। মরাটিলার উত্তর দিক থেকে বেশ কিছু অংশ এবং আবদুর রওফ মিয়ার বাড়ি থেকে ডিগারকান্দি গ্রাম সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গায় মাটি একেবারেই পড়েনি। বাঁধের স্লোপের পরিমাণ কম, বৃষ্টি এলে বাঁধের মাটি ধসে বাঁধ ভাঙ্গার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
এছাড়াও দরগাপাশা ইউপি’র অন্তর্গত ০১ নং পিআইসির সভাপতি সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্যা কবিতা দাসের বেড়িবাঁধের কাছাকাছি বিপজ্জনক জায়গায় একদম খাড়া স্লোপ থাকায় এ অংশে আরো কাজ করানোর দাবি করেন স্থানীয়রা।

অপরদিকে, একই প্রকল্পের নোয়াগাঁও সংলগ্ন যে জায়গায় সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে সে জায়গাটিই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। বাঁধের কাজে বেশ কিছু জায়গার কাছ থেকে মাটি আনা হয়েছে। স্লোপের পরিমাণও কম। এ ব্যাপারে পিআইসি সভাপতি কবিতা দাসের স্বামী বলেন,‘আমরা বাঁধের কাছ থেকে মাটি আনি নি। দূর থেকে মাটি এনে এখানে রেখেছি। তারপর দুই কাটায় মাটি বাঁধে তুলেছি। তিনি তার কাজে কোনো অনিয়ম নেই বলেও দাবি করেছেন।

হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক মিলন নিজের ফেসবুক পোস্টে ‘কাচিভাঙ্গা হাওরে- হাওর বাঁধের সাতকাহন’ শিরোনামে অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। মিলন এ প্রতিবেদককে বলেন,‘ নোয়াগাঁও এলাকার ভাঙ্গা অংশটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দও বেশি। স্লোপ একেবারে কম। আর ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের হাজার ফুটের কাজ বাকী আছে। এটা চলমান। রোববারে ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, দ্রুত কাজ শেষ করব। তবে গতকাল মঙ্গলবার বার বার তাঁর ফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।