জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শনিবার বিকেলে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত ‘মানবাধিকার : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সিরাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি শহীদুল হক সাঈদ প্রমুখ।
তিনি বলেন, ঘটনার অনেকদিন আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট ডিজাইন করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর কারণ ছিলো নারীরা কেন ঘর থেকে বের হয়ে আসবে? সামগ্রিকভাবে কিছু ঘটনা ছাড়া তুলনামূলক বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। দেশে নারী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ৫ বছর পর পর নির্বাচন হবে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন কোন রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তো আর নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। এরপর সেই বিশেষ দল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ৫ জানুয়ারির পর দেশব্যাপী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, এর চেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে পারে না। মানুষকে পুড়িয়ে মারার দায়ে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জোর দাবি জানান তিনি।
মানবাধিকার রক্ষায় সরকারসহ সকলকেই সবার সমান অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে হবে বলেও জানান সাগুফতা ইয়াসমিন।