ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেতন মাত্র ১০ হাজার, বাড়ি কিনেছেন আড়াই কোটি টাকার এই আবদুর রশিদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৪৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাসিক বেতন ১০ হাজার, বাড়ি কিনেছেন আড়াই কোটি টাকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী তিনি। মাসিক মূল বেতন মাত্র ১০ হাজার টাকা। অথচ টাঙ্গাইলে ৫ কাঠা জমিতে তার আছে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা বাড়ি। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন দোতলা বাড়ি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তার আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ আছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। টাকার কুমির এই লেজারকিপারের নাম আবদুর রশিদ। ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক। এর আগে ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হয় দুদকে।

শুধু তাই নয়, সিটি করপোরেশনে চাকরি নেওয়ার পর বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে লেজারকিপার থেকে রাজস্ব বিভাগে লাইসেন্স সুপারভাইজার পদে কারওয়ান বাজারস্থ ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসে পোস্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। অদৃশ্য এক ক্ষমতায় একাই নিয়ন্ত্রণ করছেন চার-পাঁচটি ওয়ার্ড।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের দিঘলিয়া এলাকার থানাপাড়া রোডের পানির ট্যাংকির সঙ্গে ৫ কাঠা জমিতে ‘মণ্ডলবাড়ী’ নামে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা একটি বাড়ি তৈরি করেছেন রশিদ। এমন আধুনিক নকশা আর নান্দনিক বাড়ি ওই এলাকায় আর একটিও নেই। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন আরও একটি দোতলা বাড়ি (ক/এ-৩/ডি খিলক্ষেত মধ্যপাড়া, পোস্ট অফিস রোড, ঢাকা)। এ ছাড়া রশিদের নামে-বেনামে আরও কয়েক কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।

দুদক জানায়, তিনি জাল সনদ, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এ ছাড়া তদবির ও জালিয়াতির মাধ্যমে লেজারকিপার পদে চাকরি পাওয়া রশিদ এখন ডিএনসিসিতে শ্রমিক লীগের প্রভাবশালী নেতা। শ্রমিক লীগ সভাপতি পরিচয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগ, পোস্টিং, পদোন্নতি দেওয়ার নামে অবৈধভাবে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়েছেন রশিদ। ডিএনসিসিতে চাকরি দেওয়া ও প্রমোশন করে দেওয়ার কথা বলে ২০ জন কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম ঘুষ নিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বেতন মাত্র ১০ হাজার, বাড়ি কিনেছেন আড়াই কোটি টাকার এই আবদুর রশিদ

আপডেট টাইম : ০৩:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাসিক বেতন ১০ হাজার, বাড়ি কিনেছেন আড়াই কোটি টাকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী তিনি। মাসিক মূল বেতন মাত্র ১০ হাজার টাকা। অথচ টাঙ্গাইলে ৫ কাঠা জমিতে তার আছে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা বাড়ি। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন দোতলা বাড়ি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তার আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ আছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। টাকার কুমির এই লেজারকিপারের নাম আবদুর রশিদ। ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক। এর আগে ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হয় দুদকে।

শুধু তাই নয়, সিটি করপোরেশনে চাকরি নেওয়ার পর বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে লেজারকিপার থেকে রাজস্ব বিভাগে লাইসেন্স সুপারভাইজার পদে কারওয়ান বাজারস্থ ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসে পোস্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। অদৃশ্য এক ক্ষমতায় একাই নিয়ন্ত্রণ করছেন চার-পাঁচটি ওয়ার্ড।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের দিঘলিয়া এলাকার থানাপাড়া রোডের পানির ট্যাংকির সঙ্গে ৫ কাঠা জমিতে ‘মণ্ডলবাড়ী’ নামে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা একটি বাড়ি তৈরি করেছেন রশিদ। এমন আধুনিক নকশা আর নান্দনিক বাড়ি ওই এলাকায় আর একটিও নেই। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন আরও একটি দোতলা বাড়ি (ক/এ-৩/ডি খিলক্ষেত মধ্যপাড়া, পোস্ট অফিস রোড, ঢাকা)। এ ছাড়া রশিদের নামে-বেনামে আরও কয়েক কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।

দুদক জানায়, তিনি জাল সনদ, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এ ছাড়া তদবির ও জালিয়াতির মাধ্যমে লেজারকিপার পদে চাকরি পাওয়া রশিদ এখন ডিএনসিসিতে শ্রমিক লীগের প্রভাবশালী নেতা। শ্রমিক লীগ সভাপতি পরিচয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগ, পোস্টিং, পদোন্নতি দেওয়ার নামে অবৈধভাবে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়েছেন রশিদ। ডিএনসিসিতে চাকরি দেওয়া ও প্রমোশন করে দেওয়ার কথা বলে ২০ জন কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম ঘুষ নিয়েছেন।