হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের মাঠে মাঠে চলছে কৃষকের বোরো চাষের কর্ম ব্যস্ততা। বোরো আবাদ মৌসুমের শুরুতে তীব্র ঠাণ্ডায় এখানকার কৃষকরা বোরো চাষে একটু বিপাকে পড়লেও এখন ঠাণ্ডা কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে।
জেলার রৌমারী, রাজীবপুর, চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা বোরোর জমিতে চাষ, সেচ প্রদান ও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
কৃষকের সঙ্গে মাঠে নেমেছে কৃষাণীরাও।
এবার কুড়িগ্রামে আমন মৌসুমে বন্যার কারণে ফসল বির্পযয় হয়েছিলো। তাই সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো মৌসুমের উপর ঝোঁক দিয়েছে কৃষকরা।
ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের কৃষক শান্ত রহমান জানান, বন্যায় তাদের আমন খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের পরিবারে চালের অভাব দেখা দেয়। এ জন্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার তিনি গতবারের চেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষ করছেন।
নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কৃষক রহমান আলী জানান, এবার তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছেন। আমনের আবাদ বন্যায় নষ্ট হওয়ায় এবার নষ্ট ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি গতবারের চেয়ে আরো এক বিঘা জমি বাড়িয়ে মোট ৩ বিঘায় বেরো চাষ করছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ির উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার দে জানান, এবার কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৮ হেক্টর জমি।
তিনি আরো বলেন, বন্যার কারনে এখানকার কিছু কিছু জায়গায় কৃষকের আমনের ফসলে বিপর্যয় হওয়ায় আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা যত্ন সহকারে এবার বোরো চাষে মনোনিবেশ করেছেন।
এতে করে কুড়িগ্রামে গতবারের চেয়ে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।