ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদরগঞ্জে কমেছে বিষবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত তামাকের চাষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ২৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় কমে গেছে বিষবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত তামাকের চাষ। কৃষি বিভাগের আন্তরিকতা ও চাষিদের উপলব্ধিই তামাক চাষে অনীহার কারণ। তামাক কোম্পানির লোভনীয় প্রস্তাবও চলতি বছর কৃষকদের তামাক চাষে উৎসাহিত করতে পারেনি। এক সময় বদরগঞ্জ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছিলো তামাকের চাষ। নগদ অর্থ ও অধিক মুনাফার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে তামাকজাত দ্রব্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেনেও কৃষকরা তামাক উৎপাদন করতেন। পরবর্তীতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও কৃষকদের সাথে প্রতিনিয়ত সম্পর্ক জোরদার এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক কৃষকদের বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় তামাক চাষিরা নিরুৎসাহিত হন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর গোটা উপজেলার তামাক চাষ নেমে এসেছে মাত্র ৩৮ হেক্টরে। যদিও তামাক কোম্পানিগুলো এই ৩৮ হেক্টর জমির তামাক কৃষকদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে ক্রয় এবং আগাম ঋণের ব্যবস্থা করেছিলো। তা না হলে উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতেও তামাক চাষ হতো না।

কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, গোটা উপজেলার মধ্যে শুধু মধুপুর ইউনিয়নে কৃষকরা তামাক চাষ করছেন। এছাড়াও পৌরশহরের নদীর তীরবর্তী কিছু এলাকায় তামাক চাষ হচ্ছে।

তামাক চাষ নিয়ে কথা হয় উপজেলার মধুপুর ইউপির পাকারমাথা এলাকার তামাক চাষি সিরাজুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, তামাক চাষে লাভ অনেক বেশি। বালু মিশ্রিত অল্প কিছু জমিতে তিনি এবার তামাক চাষ করেছেন।

তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব সিরাজুল হককে তামাক চাষে আকৃষ্ট করেছে বলে জানান তিনি। তামাকের ক্ষতিকর দিকের কথা বললে আগামীতে আর তামাক চাষ করবেন না বলেও জানান তিনি।

পৌরশহরের গত বারের তামাক চাষি মানিক রায় জানান, ক্ষতিকর দিকের কথা মাথায় রেখে তামাক কোম্পানির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে এ মৌসুমে তামাকের জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, উপজেলায় কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার কারণে ভুট্টা, সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বদরগঞ্জে কমেছে বিষবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত তামাকের চাষ

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় কমে গেছে বিষবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত তামাকের চাষ। কৃষি বিভাগের আন্তরিকতা ও চাষিদের উপলব্ধিই তামাক চাষে অনীহার কারণ। তামাক কোম্পানির লোভনীয় প্রস্তাবও চলতি বছর কৃষকদের তামাক চাষে উৎসাহিত করতে পারেনি। এক সময় বদরগঞ্জ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছিলো তামাকের চাষ। নগদ অর্থ ও অধিক মুনাফার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে তামাকজাত দ্রব্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেনেও কৃষকরা তামাক উৎপাদন করতেন। পরবর্তীতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও কৃষকদের সাথে প্রতিনিয়ত সম্পর্ক জোরদার এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক কৃষকদের বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় তামাক চাষিরা নিরুৎসাহিত হন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর গোটা উপজেলার তামাক চাষ নেমে এসেছে মাত্র ৩৮ হেক্টরে। যদিও তামাক কোম্পানিগুলো এই ৩৮ হেক্টর জমির তামাক কৃষকদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে ক্রয় এবং আগাম ঋণের ব্যবস্থা করেছিলো। তা না হলে উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতেও তামাক চাষ হতো না।

কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, গোটা উপজেলার মধ্যে শুধু মধুপুর ইউনিয়নে কৃষকরা তামাক চাষ করছেন। এছাড়াও পৌরশহরের নদীর তীরবর্তী কিছু এলাকায় তামাক চাষ হচ্ছে।

তামাক চাষ নিয়ে কথা হয় উপজেলার মধুপুর ইউপির পাকারমাথা এলাকার তামাক চাষি সিরাজুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, তামাক চাষে লাভ অনেক বেশি। বালু মিশ্রিত অল্প কিছু জমিতে তিনি এবার তামাক চাষ করেছেন।

তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব সিরাজুল হককে তামাক চাষে আকৃষ্ট করেছে বলে জানান তিনি। তামাকের ক্ষতিকর দিকের কথা বললে আগামীতে আর তামাক চাষ করবেন না বলেও জানান তিনি।

পৌরশহরের গত বারের তামাক চাষি মানিক রায় জানান, ক্ষতিকর দিকের কথা মাথায় রেখে তামাক কোম্পানির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে এ মৌসুমে তামাকের জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, উপজেলায় কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার কারণে ভুট্টা, সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।