হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতের প্রকোপ কমতে থাকায় নতুন করে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নড়াইল, ফরিদপুর ও দিনাজপুরের কৃষকেরা। মৌসুমের শুরুতে ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা ও চারা নষ্ট হয়ে গেলে আবার বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন তারা। তবে উৎপাদন খরচ ও মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ম্যসহ নানা কারণে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে ফরিদপুরে ইরি-বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে নতুন করে চারা বুনতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। বাড়তি উৎপাদন খরচ আর নায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা।
নড়াইলে বোরো রোপনের ভরা সময়টাতে ঘন কুয়াশার কারণে চারার কিছুটা হয়। এখন সে সংকট প্রায় কাটিয়ে উঠেছেন কৃষকরা। তবে উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে বলে তা পোষানো যাবে কিনা সে সংশয়ে রয়েছেন কৃষকেরা।
এদিকে বন্যায় আমনে লাভের মুখ দেখতে পারেনি দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা। তাই সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার পুরো উদ্যোমে বোরো আবাদ শুরু করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, সরকার ঘোষিত দামে ধান বিক্রি করতে পারেন না তারা।
তবে কৃষকরা যাতে সরকার ঘোষিত দাম পান তার জন্য দরকারি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।
চলতি বছরে দিনাজপুর কৃষি অঞ্চলে ২ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন চাল।