ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন আপেলের পুষ্টিগুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৩৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আপেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যা আমাদের হয়তো জানা নেই। মানব দেহের জন্য এগুলো অত্যন্ত প্রয়োজন। আসুন আমরা যেনে নেই আপেলের কি কি গুণ রয়েছে।ইংরেজিতে একটি প্রবাদ রয়েছে–An apple a day, keeps doctor away! প্রবাদটি থেকেই বোঝা যায় যে ফল হিসেবে আপেলের গুরুত্ব কতখানি! এ কারণেই বোধহয় নানান রোগে পথ্য হিসেবে রোগীকে আপেল খাওয়ানো হয়ে থাকে!

আপেল বিদেশী ফল হলেও আমাদের দেশে সুপরিচিত এবং বেশ জনপ্রিয়। সহজলভ্য অথচ দাম নাগালের মধ্যে এমন সব ফলের ভেতর আপেলকেই প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ অভিজাত ফল হিসেবে গণ্য করে থাকে। তাই কুটুমবাড়ি বলুন, আর রোগী দেখতে হাসপাতালে যাওয়া বলুন, আপেল হাতে চলে যাওয়া যায় সহজেই!
আপেলের ইংরেজি নাম হলো Apple এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Malus domestica।

আপেলের আদি নিবাস মধ্য এশিয়ায়। আধুনিক আপেলের বুনোরূপ Malus sieversii এই এলাকায় পাওয়া যায় এখনো! হাজার বছর ধরে এশিয়া ও ইউরোপে আপেলের চাষ হয়ে আসছে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর আমেরিকাসহ আরো অনেক দেশে। চীন, আমেরিকা, পোল্যান্ড, ইটালি, চিলি, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর পরিমাণে আপেল উত্‍পাদন করা হয়। আপেল স্থান করে নিয়েছে নানান উপকথা ও সাহিত্যেও!

ধারণা করা হয় আপেলই সেই নিষিদ্ধ ফল, যা অ্যাডাম ও ঈভ শয়তানের প্ররোচনায় খেয়েছিলেন। গ্রিসের পৌরাণিক কাহিনীতেও আপেলের উল্লেখ পাওয়া যায়। গ্রিক বীর হারকিউলিসের ‘বারোটি শ্রম’-এর মধ্য একটি ছিল মৃত্যুপুরীর বাগান থেকে ‘জীবন গাছ’-এর একটি সোনালি আপেল নিয়ে আসা।ট্রয়ের যুদ্ধটিও ঘটেছিল একটিমাত্র আপেলের কারণেই!

আপেল সারা বিশ্বে ফল হিসেবে খাওয়া হয়। আপেল দিয়ে নানা ধরনের ডেজার্ট, কেক, জেলি, জ্যাম, জুস, সালাদ, সস ও মাখন তৈরি করা হয়। কিছু কিছু দেশে কাঁচা আপেল মাংসের সাথে রান্না করে খাওয়া হয়।

খোসাসহ আপেলের খাদ্যযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে রয়েছে –

খাবার হিসেবে আপেলের জুড়ি নেই! এর রয়েছে প্রচুর গুণাগুণ। যেমন –

আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। সহজেই ক্ষুধা নিবারণ করার ক্ষমতা রয়েছে আপেলের। তাই স্ন্যাকস হিসেবে অন্যান্য খাবারের পরিবর্তে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা কমে যায়।আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

আপেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্য বিলম্বিত করে এবং এর ভিটামিন সি ও ই ত্বক রাখে সুন্দর।
নানা ধরনের ক্যান্সার ও অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে আপেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে আপেল সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জেনে নিন আপেলের পুষ্টিগুণ

আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আপেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যা আমাদের হয়তো জানা নেই। মানব দেহের জন্য এগুলো অত্যন্ত প্রয়োজন। আসুন আমরা যেনে নেই আপেলের কি কি গুণ রয়েছে।ইংরেজিতে একটি প্রবাদ রয়েছে–An apple a day, keeps doctor away! প্রবাদটি থেকেই বোঝা যায় যে ফল হিসেবে আপেলের গুরুত্ব কতখানি! এ কারণেই বোধহয় নানান রোগে পথ্য হিসেবে রোগীকে আপেল খাওয়ানো হয়ে থাকে!

আপেল বিদেশী ফল হলেও আমাদের দেশে সুপরিচিত এবং বেশ জনপ্রিয়। সহজলভ্য অথচ দাম নাগালের মধ্যে এমন সব ফলের ভেতর আপেলকেই প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ অভিজাত ফল হিসেবে গণ্য করে থাকে। তাই কুটুমবাড়ি বলুন, আর রোগী দেখতে হাসপাতালে যাওয়া বলুন, আপেল হাতে চলে যাওয়া যায় সহজেই!
আপেলের ইংরেজি নাম হলো Apple এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Malus domestica।

আপেলের আদি নিবাস মধ্য এশিয়ায়। আধুনিক আপেলের বুনোরূপ Malus sieversii এই এলাকায় পাওয়া যায় এখনো! হাজার বছর ধরে এশিয়া ও ইউরোপে আপেলের চাষ হয়ে আসছে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর আমেরিকাসহ আরো অনেক দেশে। চীন, আমেরিকা, পোল্যান্ড, ইটালি, চিলি, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর পরিমাণে আপেল উত্‍পাদন করা হয়। আপেল স্থান করে নিয়েছে নানান উপকথা ও সাহিত্যেও!

ধারণা করা হয় আপেলই সেই নিষিদ্ধ ফল, যা অ্যাডাম ও ঈভ শয়তানের প্ররোচনায় খেয়েছিলেন। গ্রিসের পৌরাণিক কাহিনীতেও আপেলের উল্লেখ পাওয়া যায়। গ্রিক বীর হারকিউলিসের ‘বারোটি শ্রম’-এর মধ্য একটি ছিল মৃত্যুপুরীর বাগান থেকে ‘জীবন গাছ’-এর একটি সোনালি আপেল নিয়ে আসা।ট্রয়ের যুদ্ধটিও ঘটেছিল একটিমাত্র আপেলের কারণেই!

আপেল সারা বিশ্বে ফল হিসেবে খাওয়া হয়। আপেল দিয়ে নানা ধরনের ডেজার্ট, কেক, জেলি, জ্যাম, জুস, সালাদ, সস ও মাখন তৈরি করা হয়। কিছু কিছু দেশে কাঁচা আপেল মাংসের সাথে রান্না করে খাওয়া হয়।

খোসাসহ আপেলের খাদ্যযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে রয়েছে –

খাবার হিসেবে আপেলের জুড়ি নেই! এর রয়েছে প্রচুর গুণাগুণ। যেমন –

আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। সহজেই ক্ষুধা নিবারণ করার ক্ষমতা রয়েছে আপেলের। তাই স্ন্যাকস হিসেবে অন্যান্য খাবারের পরিবর্তে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা কমে যায়।আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

আপেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্য বিলম্বিত করে এবং এর ভিটামিন সি ও ই ত্বক রাখে সুন্দর।
নানা ধরনের ক্যান্সার ও অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে আপেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে আপেল সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।