ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুসফুস সুস্থ রাখার উপায় জেনে নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৩২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিজ্ঞানের নানা সুফল আমরা ভোগ করছি। কিন্তু নগরায়নের দাপটে আজ আমাদের ফুসফুসের বারোটা বাজতে বসেছে। ফুসফুসের নানা সমস্যা বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। ফুসফুস প্রধানত দুটি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রথমত, নানা ধরণের অসুখ বিসুখের কারণে এবং দ্বিতীয়ত, জন্মগত অসুখ। জন্মগত অসুখ প্রতিরোধ করা না গেলেও ফসুফুসের আরো অর্জিত বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করা যায় সহজেই। ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিভিন্ন কারণ নিম্নে আলোচিত হল-

১. যক্ষ্মার জন্য ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. মশার কয়েল থেকেও ফুসফুসের ভীষণ ক্ষতি হতে পারে।
৩. দুর্ঘটনা জনিত কারণে এবং ফুসফুসে আঘাতের কারণে এর ক্ষতি হয়।
৪. কয়লা খনিতে যারা কাজ করে তাদের যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন ফুসফুসের অসুখ দেখা যায়। ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৫. ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া যাতে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে এগুলো ফুসফুসের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক।
৬. দূষিত পরিবেশ ফুসফুসকে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৭. বিভিন্ন খনি অঞ্চলে ফুসফুসের অসুখ বেশি হয়।

ফুসফুস জীবন রক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ। যদিও একটি ফুসফুস নিয়ে বাঁচা সম্ভব কিন্তু দুটি ফুসফুসই যদি রোগাক্রান্ত হয় তবে মৃত্যু অনিবার্য। ফুসফুস সুস্থ রাখতে নিম্নবর্ণিত নিয়ম মেনে চলতে হবে-

১. ধূমপানকে চিরবিদায় জানাতে হবে। ধূমপান ফুসফুসের অনেক ক্ষতি করে। ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ ধূমপান।
২. মশা তাড়াতে কয়েলের পরিবর্তে মশারী ব্যবহার করা উচিত।
৩. অ্যালার্জি দীর্ঘদিন থাকলে ফুসফুসের অনেক ক্ষতি হয়। যেসব খাবারে অ্যলার্জি হয় তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. ধোঁয়াজনিত পরিবেশে অবশ্যই রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
৫. কলকারখানার ধোঁয়ার ব্যাপারে যথাযথ আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে এবং পরিবেশে বান্ধব যানবাহন আবিস্কার ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।
৭. যক্ষ্মা রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। কাছে গেলে মাস্ক পড়তে হবে।
৮. জন্মগত ফুসফুস রোগে যথাযথ চিকিত্সা করতে হবে।
৯. বাড়ির চারপার্শ্বের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
১০. ফুসফুস রোগাক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।

তাই আশা করা যায় সবাই সচেতন হলে এই সুন্দর পৃথিবীতে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে ফুসফুসের সুস্থতা অপরিহার্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফুসফুস সুস্থ রাখার উপায় জেনে নিন

আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিজ্ঞানের নানা সুফল আমরা ভোগ করছি। কিন্তু নগরায়নের দাপটে আজ আমাদের ফুসফুসের বারোটা বাজতে বসেছে। ফুসফুসের নানা সমস্যা বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। ফুসফুস প্রধানত দুটি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রথমত, নানা ধরণের অসুখ বিসুখের কারণে এবং দ্বিতীয়ত, জন্মগত অসুখ। জন্মগত অসুখ প্রতিরোধ করা না গেলেও ফসুফুসের আরো অর্জিত বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করা যায় সহজেই। ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিভিন্ন কারণ নিম্নে আলোচিত হল-

১. যক্ষ্মার জন্য ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. মশার কয়েল থেকেও ফুসফুসের ভীষণ ক্ষতি হতে পারে।
৩. দুর্ঘটনা জনিত কারণে এবং ফুসফুসে আঘাতের কারণে এর ক্ষতি হয়।
৪. কয়লা খনিতে যারা কাজ করে তাদের যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন ফুসফুসের অসুখ দেখা যায়। ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৫. ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া যাতে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে এগুলো ফুসফুসের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক।
৬. দূষিত পরিবেশ ফুসফুসকে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৭. বিভিন্ন খনি অঞ্চলে ফুসফুসের অসুখ বেশি হয়।

ফুসফুস জীবন রক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ। যদিও একটি ফুসফুস নিয়ে বাঁচা সম্ভব কিন্তু দুটি ফুসফুসই যদি রোগাক্রান্ত হয় তবে মৃত্যু অনিবার্য। ফুসফুস সুস্থ রাখতে নিম্নবর্ণিত নিয়ম মেনে চলতে হবে-

১. ধূমপানকে চিরবিদায় জানাতে হবে। ধূমপান ফুসফুসের অনেক ক্ষতি করে। ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ ধূমপান।
২. মশা তাড়াতে কয়েলের পরিবর্তে মশারী ব্যবহার করা উচিত।
৩. অ্যালার্জি দীর্ঘদিন থাকলে ফুসফুসের অনেক ক্ষতি হয়। যেসব খাবারে অ্যলার্জি হয় তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. ধোঁয়াজনিত পরিবেশে অবশ্যই রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
৫. কলকারখানার ধোঁয়ার ব্যাপারে যথাযথ আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে এবং পরিবেশে বান্ধব যানবাহন আবিস্কার ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।
৭. যক্ষ্মা রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। কাছে গেলে মাস্ক পড়তে হবে।
৮. জন্মগত ফুসফুস রোগে যথাযথ চিকিত্সা করতে হবে।
৯. বাড়ির চারপার্শ্বের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
১০. ফুসফুস রোগাক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।

তাই আশা করা যায় সবাই সচেতন হলে এই সুন্দর পৃথিবীতে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে ফুসফুসের সুস্থতা অপরিহার্য।