হাওর বার্তা ডেস্কঃ শাকিব খান নিশ্চয়ই এখন যে কোনও সংলাপ বলার আগে শতবার ভাবেন! কারণ ‘রাজনীতি’ ছবিতে আওড়ানো একটা সংলাপ তাকে ফেলে দিয়েছে বেকায়দায়। ওই সংলাপে একজন সাধারণ মানুষের মোবাইল নম্বর থাকায় জনপ্রিয় এই অভিনেতার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বেড়েই চলেছে।
অনুমতি ছাড়া নম্বরটি ব্যবহার করায় প্রতারণা ও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা ঝুলছে তার মাথার ওপর। আরও দুশ্চিন্তার খবর হলো, আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এর প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ছিল মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ধার্য তারিখ। কিন্তু ডিবি পুলিশ তা দেয়নি। এ কারণে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের সিএনজি চালক ইজাজুল মিয়া বাদী হয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবর শাকিব খান,পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও ‘রাজনীতি’র প্রযোজকের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে এই মামলা করেন। প্রতারণার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অনুমতি ছাড়াই তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তারা কোনও প্রতিবেদন না দেওয়ায় বুধবার এই আদেশ দেন বিচারক।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেছেন, ‘আমরা মনে করছি, ডিবি পুলিশ ইচ্ছে করে চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রতিবেদন দিচ্ছে না। তাই আদালত আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’ এদিকে আদালতের এই নির্দেশ বিষয়ে শাকিব খান এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
জানা গেছে, মামলায় সিএনজি চালক ইজাজুল ছবিটির একটি দৃশ্যের বিবরণ দিয়েছেন। সোয়া ২ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের ‘রাজনীতি’র আধঘণ্টার মধ্যে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সংলাপ বিনিময়ের সময় শাকিব একটি মোবাইল নম্বর বলেন। ওই মোবাইল নম্বরের মালিক ইজাজুল মিয়া। গত বছরের ১০ জুলাই রাত ১০টা ৬ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড থেকে ১৫ জুলাই রাত ৯টা ২৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ৪৩২টি কল আসে তার নম্বরে। তাদের বেশিরভাগই মেয়ে।
এর মধ্যে শাকিব খান ভেবে খুলনা থেকে এক গৃহকর্মী চলে আসে ইজাজুলের বানিয়াচংয়ের বাড়িতে। তাছাড়া রাতবিরাতে অনবরত মেয়েরা ফোন করতে থাকে ইজাজুলের মোবাইল নম্বরে। ফলে এক সন্তানের এই জনকের সংসার ভাঙার উপক্রম হয়।