ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস রোগীরাও ফল খান নিশ্চিন্তে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৪০৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডায়াবেটিস হলে যেসব চিন্তায় মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয় তার মধ্যে একটি হল খাবার। তাই বলে, না খেয়ে নিজেকে দুর্বল হতে দেবেন না। চেষ্টা করুন দুর্বলতাকে জয় করার। আর দুর্বলতাকে জয় করতে হলে খাওয়া দাওয়া তো ভাল করে করতেই হবে। সব থেকে বড় কথা প্রচুর ফল খেতে হবে। তবে কোন কোন ফল খেলে ডায়াবেটিসে কোনও সমস্যা হয় না। তাই  আজ তেমনই কিছু ফলের কথা জেনে নিব , যা ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।

বেদানা

বেদানা এমন একটি ফল, যা শুধু ডায়াবেটিস রোগীরা নয়, প্রতিটি মানুষেরই খাওয়া দরকার। এর কারণ, বেদানা শরীরে ক্যান্সারকে বাসা বাঁধতে দেয় না। একইসঙ্গে যে কোনও রোগকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দান করে। এছাড়াও, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে এবং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

আপেল

আপেল হল হাইপোগ্লাইসেমিক অরগানিক উপাদান। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য দারুণভাবে উপকারি। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে পেকটিন, যা রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতেও ভুমিকা পালন করে।

জাম

জাম খেতে কে না ভালোবাসে। এই ফলটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য খুবই উপকারি। জাম শর্করাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলতে পারে। এছাড়াও, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে পারে। জামের বীজের মধ্যেই বহু উপকারি উপাদান থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের নিয়ম করে কিছুটা পরিমাণে জাম খাওয়া অবশ্যভাবেই উচিত।

পেয়ারা

পেয়ারা কাঁচা হোক বা পাকা অথবা পেয়ারা মাখা হোক বা শুধুই লবণ দিয়ে, যে কোনও ভাবেই পেয়ারা আমরা সকলেই খেতে খুব ভালবাসি। আর পেয়ারা খেলে কি হয় জানেন? এই ফলটি ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে। একইসঙ্গে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও ভীষণভাবে উপকারি। এর কারণ, পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যার ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এমনকি টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও রোধ করতে পারে ফাইবার। এছাড়াও পেয়ারার মধ্যে থাকে ভিটামিন এ এবং সি।

পাকা পেঁপে

পাকা পেঁপে অনেকেই আছে, যারা খুব ভালবাসেন। আবার অনেকে পাকা পেঁপে দেখলেই নাক সিঁটকান। তবে, পাকা পেঁপের গুণ জানলে এবার তারাও খেতে শুরু করবেন। পেঁপের মধ্যে ক্যান্সার রোধকারি উপাদান বজায় থাকে। একইসঙ্গে অসাধারণভাবে কাজ করে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে। মূলত, ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যন্ত বেশিহারে বাড়তে থাকে। ফলে, এর প্রভাব পরে স্নায়ুর উপর। পেঁপে খেলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কমলালেবু

কমলালেবুতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও কমলালেবুতে ম্যাগনেশিয়াম থাকার জন্য রক্তচাপ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই নিয়ম করে কমলালেবু খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে, কমলালেবুর মধ্যে গ্লাইসেমিকের পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই কমলালেবুর রস বানিয়ে খাওয়া বেশি উপকারি।

আমলকী

আমলকী ত্বক, চুল প্রভৃতির যত্নে দারুণ কাজ করে। একইসঙ্গে কাজ করে লিভার এবং কিডনির সমস্যা সমাধানেও। তবে আমলকী যে ডায়াবেটিসের সমস্যায় সাহায্য করে, তা কতজন জানেন? আমলকীর মধ্যে যে ক্রোমিয়াম থাকে, তা অগ্ন্যাশয়ের জন্য খুবই উপকারি। ফলে ইন্স্যুলিন এবং শর্করার মাত্রাও সঠিক পরিমাণে বজায় থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ডায়াবেটিস রোগীরাও ফল খান নিশ্চিন্তে

আপডেট টাইম : ০৫:১৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডায়াবেটিস হলে যেসব চিন্তায় মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয় তার মধ্যে একটি হল খাবার। তাই বলে, না খেয়ে নিজেকে দুর্বল হতে দেবেন না। চেষ্টা করুন দুর্বলতাকে জয় করার। আর দুর্বলতাকে জয় করতে হলে খাওয়া দাওয়া তো ভাল করে করতেই হবে। সব থেকে বড় কথা প্রচুর ফল খেতে হবে। তবে কোন কোন ফল খেলে ডায়াবেটিসে কোনও সমস্যা হয় না। তাই  আজ তেমনই কিছু ফলের কথা জেনে নিব , যা ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।

বেদানা

বেদানা এমন একটি ফল, যা শুধু ডায়াবেটিস রোগীরা নয়, প্রতিটি মানুষেরই খাওয়া দরকার। এর কারণ, বেদানা শরীরে ক্যান্সারকে বাসা বাঁধতে দেয় না। একইসঙ্গে যে কোনও রোগকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দান করে। এছাড়াও, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে এবং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

আপেল

আপেল হল হাইপোগ্লাইসেমিক অরগানিক উপাদান। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য দারুণভাবে উপকারি। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে পেকটিন, যা রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতেও ভুমিকা পালন করে।

জাম

জাম খেতে কে না ভালোবাসে। এই ফলটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য খুবই উপকারি। জাম শর্করাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলতে পারে। এছাড়াও, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে পারে। জামের বীজের মধ্যেই বহু উপকারি উপাদান থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের নিয়ম করে কিছুটা পরিমাণে জাম খাওয়া অবশ্যভাবেই উচিত।

পেয়ারা

পেয়ারা কাঁচা হোক বা পাকা অথবা পেয়ারা মাখা হোক বা শুধুই লবণ দিয়ে, যে কোনও ভাবেই পেয়ারা আমরা সকলেই খেতে খুব ভালবাসি। আর পেয়ারা খেলে কি হয় জানেন? এই ফলটি ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে। একইসঙ্গে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও ভীষণভাবে উপকারি। এর কারণ, পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যার ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এমনকি টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও রোধ করতে পারে ফাইবার। এছাড়াও পেয়ারার মধ্যে থাকে ভিটামিন এ এবং সি।

পাকা পেঁপে

পাকা পেঁপে অনেকেই আছে, যারা খুব ভালবাসেন। আবার অনেকে পাকা পেঁপে দেখলেই নাক সিঁটকান। তবে, পাকা পেঁপের গুণ জানলে এবার তারাও খেতে শুরু করবেন। পেঁপের মধ্যে ক্যান্সার রোধকারি উপাদান বজায় থাকে। একইসঙ্গে অসাধারণভাবে কাজ করে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে। মূলত, ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যন্ত বেশিহারে বাড়তে থাকে। ফলে, এর প্রভাব পরে স্নায়ুর উপর। পেঁপে খেলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কমলালেবু

কমলালেবুতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও কমলালেবুতে ম্যাগনেশিয়াম থাকার জন্য রক্তচাপ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই নিয়ম করে কমলালেবু খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে, কমলালেবুর মধ্যে গ্লাইসেমিকের পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই কমলালেবুর রস বানিয়ে খাওয়া বেশি উপকারি।

আমলকী

আমলকী ত্বক, চুল প্রভৃতির যত্নে দারুণ কাজ করে। একইসঙ্গে কাজ করে লিভার এবং কিডনির সমস্যা সমাধানেও। তবে আমলকী যে ডায়াবেটিসের সমস্যায় সাহায্য করে, তা কতজন জানেন? আমলকীর মধ্যে যে ক্রোমিয়াম থাকে, তা অগ্ন্যাশয়ের জন্য খুবই উপকারি। ফলে ইন্স্যুলিন এবং শর্করার মাত্রাও সঠিক পরিমাণে বজায় থাকে।