হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসরায়েলের পর এবার ফিলিস্তিনের সঙ্গে সুসম্পর্কও আরও মজবুত করতে চায় ভারত। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী মাসেই ফিলিস্তিন সফর করবেন নরেন্দ্র মোদী। স্বাভাবিক ভাবেই এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান সফর করবেন মোদী। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনের রামল্লায় যাবেন তিনি। দুবাইয়ে ‘সিক্সথ ওয়ার্ল্ড গর্ভনমেন্ট সামিট’-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত মোদী। সরকারি সূত্র জানায়, দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
গত বছরই ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর গত সপ্তাহেই ভারতে এসেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মোদির ইসরায়েল সফরে ফিলিস্তিনে না যাওয়ায় সেসময় প্রশ্ন উঠেছিল, ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের রসায়ন গড়তেই কি ফিলিস্তিনকে এড়িয়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
ফিলিস্তিন সেন্টার পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চের ডিরেক্টর খালিল শিকাকি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ফিলিস্তিনকে বন্ধু হিসেবে আলিঙ্গন করে ভারত। ’৭৪-এ ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলন (পিএলও)-কেও স্বীকৃতি পেয়েছিল ভারতের হাত ধরে। তা হলে এখন এত বৈষম্য কেন? প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্যের স্বার্থে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনে হয় পশ্চিমের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপনে বেশি উৎসাহী। এখন তো মনে হচ্ছে ভারতের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আর কোনো আশাই নেই ফিলিস্তিনের।
জেরুজালেম প্রশ্নে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিপক্ষেই ভোট দিয়েছে ভারত। ফিলিস্তিনের সঙ্গে জেরুজালেম নিয়ে লড়াইয়ে ভারত যে ইসরায়েলের বিপক্ষে তা স্পষ্ট করার পরেও নেতানিয়াহুর সফরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এবার ফিলিস্তিন সফরে গিয়ে ভারতের অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।