ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উটের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাবে ২৬১ কোটি টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে নেই পশুরাও। প্রতি বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয় উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা! ‘কিং আব্দুল আজিজ ক্যামেল ফেস্টিভ্যাল’ নামে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা।

এ বছর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানী রিয়াদের অদূরে আল ধানায়। পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে চলবে প্রতিযোগিতা। উট সুন্দরী প্রতিযোগিতায় এ বছর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০ হাজার উট অংশ নিচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

অংশগ্রহণকারী সব উট মালিকই চান যেন তার উটটি সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়। কারণ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী উট পাবে প্রায় ২৬১ কোটি টাকা। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে জিততে হলে অনেকগুলো ধাপে জিততে হবে।

সুন্দরী উটকে দৌড়ে জিততে হবে, সুন্দরী উটের মাথার আকার, নাক, কান, দাঁত চোয়ালের গঠন কেমন তাও পরখ করবেন বিচারকরা। শরীরে চামড়া ভাজ পড়েছে কিনা সেগুলোও যাচাই করা হবে। আর সবকিছুতে উতরে যাবার পরই মিলবে সেরা সুন্দরীর খেতাব।

সৌদি সিনেমায় বৃহৎ কোম্পানিগুলোর দৌড়ঝাপ প্রায় ৩৫ বছর পর সৌদি আরবে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এই খাতে বিনিয়োগে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে বিশ্বের বড় বড় ফিল্ম কোম্পানিগুলো। এরইমধ্যে ব্রিটেনের ভুই এন্টারটেইনমেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের এএমসি এবং কানাডার আইম্যাক্স’র মতো দুনিয়াখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে সিনেমা উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে সৌদি আরবে। বিশ্বের অনেক চলচ্চিত্র কোম্পানিরই বাজার ভালো যাচ্ছে না উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে। সৌদি তাদের জন্য সম্ভবনা হয়ে দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সিনেমার জন্য মুখিয়ে আছে সৌদিরাও।

এই খাতে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াদ। পরিসংখ্যান মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবে চালু হবে ৩০০ সিনেমা হল। এতে কর্মসংস্থান হবে ৩০ হাজার মানুষের। ২৪ বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি হবে সৌদি আরবের সিনেমা।

চলচ্চিত্র কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভুই এন্টারটেইনমেন্ট। ইতিমধ্যে তারা ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ব্যাপারে কথা বলছে সৌদি সরকারের সঙ্গে। দেশটিতে ২০ থেকে ৩০টি সিনেমা হল নির্মাণ করবে তারা। গত বছরের অক্টোবরে এক বাণিজ্যিক সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে আমন্ত্রণও পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম রিচার্ডস।

গত মাসে সৌদি সরকারের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বিশ্বের বৃহত্তম ফিল্ম কোম্পানি এএমসি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে তারা।

এদিকে কানাডার কোম্পানি আইম্যাক্স’র প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গেলফন্ড জানান, তারা ইতিমধ্যে সৌদি আরবের একমাত্র সিনেমা হল সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চালাচ্ছেন। ২০০৫ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়।

আশির দশকে সৌদি আরবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু বর্তমান যুবরাজ তার দেশের ‘আধুনিকায়নে’ চলচ্চিত্র উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেন। এছাড়া পর্যটকদের জন্যও সৌদি আরবকে ‘আদর্শ স্থান’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উটের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাবে ২৬১ কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ০৭:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে নেই পশুরাও। প্রতি বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয় উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা! ‘কিং আব্দুল আজিজ ক্যামেল ফেস্টিভ্যাল’ নামে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা।

এ বছর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানী রিয়াদের অদূরে আল ধানায়। পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে চলবে প্রতিযোগিতা। উট সুন্দরী প্রতিযোগিতায় এ বছর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০ হাজার উট অংশ নিচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

অংশগ্রহণকারী সব উট মালিকই চান যেন তার উটটি সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়। কারণ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী উট পাবে প্রায় ২৬১ কোটি টাকা। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে জিততে হলে অনেকগুলো ধাপে জিততে হবে।

সুন্দরী উটকে দৌড়ে জিততে হবে, সুন্দরী উটের মাথার আকার, নাক, কান, দাঁত চোয়ালের গঠন কেমন তাও পরখ করবেন বিচারকরা। শরীরে চামড়া ভাজ পড়েছে কিনা সেগুলোও যাচাই করা হবে। আর সবকিছুতে উতরে যাবার পরই মিলবে সেরা সুন্দরীর খেতাব।

সৌদি সিনেমায় বৃহৎ কোম্পানিগুলোর দৌড়ঝাপ প্রায় ৩৫ বছর পর সৌদি আরবে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এই খাতে বিনিয়োগে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে বিশ্বের বড় বড় ফিল্ম কোম্পানিগুলো। এরইমধ্যে ব্রিটেনের ভুই এন্টারটেইনমেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের এএমসি এবং কানাডার আইম্যাক্স’র মতো দুনিয়াখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে সিনেমা উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে সৌদি আরবে। বিশ্বের অনেক চলচ্চিত্র কোম্পানিরই বাজার ভালো যাচ্ছে না উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে। সৌদি তাদের জন্য সম্ভবনা হয়ে দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সিনেমার জন্য মুখিয়ে আছে সৌদিরাও।

এই খাতে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াদ। পরিসংখ্যান মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবে চালু হবে ৩০০ সিনেমা হল। এতে কর্মসংস্থান হবে ৩০ হাজার মানুষের। ২৪ বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি হবে সৌদি আরবের সিনেমা।

চলচ্চিত্র কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভুই এন্টারটেইনমেন্ট। ইতিমধ্যে তারা ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ব্যাপারে কথা বলছে সৌদি সরকারের সঙ্গে। দেশটিতে ২০ থেকে ৩০টি সিনেমা হল নির্মাণ করবে তারা। গত বছরের অক্টোবরে এক বাণিজ্যিক সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে আমন্ত্রণও পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম রিচার্ডস।

গত মাসে সৌদি সরকারের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বিশ্বের বৃহত্তম ফিল্ম কোম্পানি এএমসি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে তারা।

এদিকে কানাডার কোম্পানি আইম্যাক্স’র প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গেলফন্ড জানান, তারা ইতিমধ্যে সৌদি আরবের একমাত্র সিনেমা হল সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চালাচ্ছেন। ২০০৫ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়।

আশির দশকে সৌদি আরবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু বর্তমান যুবরাজ তার দেশের ‘আধুনিকায়নে’ চলচ্চিত্র উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেন। এছাড়া পর্যটকদের জন্যও সৌদি আরবকে ‘আদর্শ স্থান’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।