ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারকেল তেল সারাবে হার্টের রোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিদিনের রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করার কথা শুনলে হয়তো চমকে উঠবেন সবাই। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণার থেকে জানা গেছে, নারকেল তেল খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-এর একটি প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গেছে।

সাধারণত নারকেল তেলে ফ্যাট থাকে বলে, নারকেল তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী, তা নিয়ে চিকিৎসকরা বহুদিন থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, চার সপ্তাহ ধরে রোজ নারকেল তেল খেলে হার্টের রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে।

বিবিসি-র ‘ট্রাস্ট মি আই অ্যাম এ ডক্টর’ সিরিজে প্রফেসর কে-টি খ এবং নীতা ফোরউহি ৯৪ জনের উপরে একটি পরীক্ষা চালান। এদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫০ থেকে ৭০-এর মধ্যে এবং কেউই হার্টের রোগ বা ডায়াবেটিসের শিকার নন।

এদেরকে তিনটি দলে ভাগ করে নেওয়া হয়। একটি দলকে চার সপ্তাহ ধরে রোজ তিন চামচ করে নারকেল তেল খেতে বলা হয়। আর বাকি দল দু’টিকে অলিভ অয়েল এবং আনসলটেড বাটার (লবনহীন মাখন) খেতে বলা হয়।

গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন, রোজ ফ্যাটজাত খাবার খেয়ে এই ৯৪ জনের কোলেস্টেরল লেভেলের উপরে কী প্রভাব পড়ে। চার সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যারা মাখন খেয়েছেন তাদের এলডিএল (লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল যাকে ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’ বলা হয়, তা ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই কোলেস্টেরল হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

যারা অলিভ অয়েল খেয়েছেন তাদের এলডিএল কোলেস্টেরল লেভেল কিছুটা কমেছে আর এইচডিএল (হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল লেভেল ৫ শতাংশ বেড়েছে। এইচডিএল কোলেস্টেরলকে ‘গুড কোলেস্টেরল’ বলা হয়, যা হার্টের অসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

আর চার সপ্তাহ ধরে যারা নারকেল তেল খেয়েছেন, তাদের ১৫ শতাংশ এইচডিএল লেভেল বেড়ে যায়। এর থেকেই কে-টি খ এবং নীতা ফোরউহি জানান যে চার সপ্তাহ ধরে নারকেল তেল খেলে কমে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা।

যদিও এই দুই গবেষক জানিয়েছেন, এই গবেষণা স্বল্পমেয়াদী ছিল। তাই রোজ নারকেল তেল খাওয়া শুরু করার আগে অবশ্যই নিজস্ব চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া দরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নারকেল তেল সারাবে হার্টের রোগ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিদিনের রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করার কথা শুনলে হয়তো চমকে উঠবেন সবাই। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণার থেকে জানা গেছে, নারকেল তেল খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-এর একটি প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গেছে।

সাধারণত নারকেল তেলে ফ্যাট থাকে বলে, নারকেল তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী, তা নিয়ে চিকিৎসকরা বহুদিন থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, চার সপ্তাহ ধরে রোজ নারকেল তেল খেলে হার্টের রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে।

বিবিসি-র ‘ট্রাস্ট মি আই অ্যাম এ ডক্টর’ সিরিজে প্রফেসর কে-টি খ এবং নীতা ফোরউহি ৯৪ জনের উপরে একটি পরীক্ষা চালান। এদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫০ থেকে ৭০-এর মধ্যে এবং কেউই হার্টের রোগ বা ডায়াবেটিসের শিকার নন।

এদেরকে তিনটি দলে ভাগ করে নেওয়া হয়। একটি দলকে চার সপ্তাহ ধরে রোজ তিন চামচ করে নারকেল তেল খেতে বলা হয়। আর বাকি দল দু’টিকে অলিভ অয়েল এবং আনসলটেড বাটার (লবনহীন মাখন) খেতে বলা হয়।

গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন, রোজ ফ্যাটজাত খাবার খেয়ে এই ৯৪ জনের কোলেস্টেরল লেভেলের উপরে কী প্রভাব পড়ে। চার সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যারা মাখন খেয়েছেন তাদের এলডিএল (লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল যাকে ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’ বলা হয়, তা ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই কোলেস্টেরল হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

যারা অলিভ অয়েল খেয়েছেন তাদের এলডিএল কোলেস্টেরল লেভেল কিছুটা কমেছে আর এইচডিএল (হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল লেভেল ৫ শতাংশ বেড়েছে। এইচডিএল কোলেস্টেরলকে ‘গুড কোলেস্টেরল’ বলা হয়, যা হার্টের অসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

আর চার সপ্তাহ ধরে যারা নারকেল তেল খেয়েছেন, তাদের ১৫ শতাংশ এইচডিএল লেভেল বেড়ে যায়। এর থেকেই কে-টি খ এবং নীতা ফোরউহি জানান যে চার সপ্তাহ ধরে নারকেল তেল খেলে কমে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা।

যদিও এই দুই গবেষক জানিয়েছেন, এই গবেষণা স্বল্পমেয়াদী ছিল। তাই রোজ নারকেল তেল খাওয়া শুরু করার আগে অবশ্যই নিজস্ব চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া দরকার।