হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী পাঁচজন প্রার্থী জানিয়েছেন, দলটির হাইকমাণ্ড যাকে মনোনয়ন দেবে-তা মেনে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন সবাই। আজ তারা মনোনয়ন ফরম কেনেন।
এ সময় প্রত্যেকে দলের জন্য তাদের ভূমিকা ও নিজের যোগ্যতা তুলে ধরেন ধানের শীষের প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ণ ফরম নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে এই কথা বলেন তারা।
দুপুর আড়াইটার দিকে সবার শেষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সবচেয়ে ‘আলোচিত প্রার্থী’ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে এবং গত মেয়র নির্বাচনে তিনি বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমি আশাবাদী, বিএনপির মনোনয়ন আমি পাবো। কারণ এই নির্বাচনের প্রথম আগেরবার আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। ওই সময়ে দল সন্তোষ হয়েছে আমরা নির্বাচন কর্মকাণ্ড দেখে। এবারো আমি আশাবাদী।’
তিনি বলেন, ‘দল যাকে প্রার্থী করবে শুধু আমি একা নয়, আমরা সবাই মিলিতভাবে এই নির্বাচনে ওই প্রার্থীর জন্য কাজ করবো।’
বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমি অবিভক্ত ঢাকা নগর থাকতেই আমি মেয়র পদে নির্বাচন করতে আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। ঢাকা বিভক্ত হওয়ার পরও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমার বরাবরই আগ্রহ ছিল বলেই এবার আমি দলীয় মনোনয়নের জন্য ফরম কিনেছি।’
‘আমার লেখা-পড়া, আমরা অভিজ্ঞতা, আমরা সাংগঠনিক পরিচয়, যোগ্যতা, সাহস, ত্যাগ, তীতিক্ষা সবকিছুই মিলে আমরা পার্টি বিবেচনা করবেন-এটাই আমরা দৃঢ় প্রত্যাশা।’
বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ ও নেতা মেজর অবসরপ্রাপ্ত আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি মনে করি, ২০১৮ সাল পরিবর্তনের বছর। পরিবর্তন হবেই। এই পরিবর্তন হবে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে। সেজন্য আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম কিনেছি।’
চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেলে কী করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘একশ ভাগ যিনি পাবেন আমি তার পক্ষে কাজ করবো। ম্যাডামের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
বিএনপির আরেক নেতা শাকিল ওয়াহেদ মনোনয়ন ফরম নিয়ে বলেন, ‘আমি ঢাকা উত্তরকে বিশ্বমানের নগরীতে পরিণত করতে এই নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েছি। আমার যোগ্যতা, দলের প্রতি আমার দীর্ঘদিনের কমিটেমেন্ট-অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মান বিবেচনা করে আমরা ধারণা আমার সম্ভাবনা ভালোই।’
বিদেশে থাকা এম এ কাইয়ুমের পক্ষে উত্তরের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল বাসিত আনজু ও এ জি এম শামসুল হক সাংবাদিকদের কাছে কোনো কথা বলেননি। শুধু নেতা-কর্মীদের নিয়ে তারা বিজয় চিহ্ন ‘ভি’ দেখান।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। গত মঙ্গলবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ওই সিটিতে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হয়।