হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রচণ্ড শীত জেঁকে বসেছে। ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতার্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। বেড়ে গেছে এলাকায় ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া। এইসব রোগে আক্রান্ত পরিবারের বৃদ্ধ আর শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এইসব আক্রান্ত রোগিদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। ঘনকুয়াশার কারণে দিনের অনেকটা সময় সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না।
সড়ক-মহাসড়কে তাই যানবাহনগুলি চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে। ফলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অপরদিকে এলাকার খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
একেতো শীতের প্রকোপ, অন্যদিকে ঠিক মতো শ্রম বিক্রি করতে না পারায় আয়-রোজগার কমে গেছে। ফলে তাদের সংসার পড়েছে আর্থিক সংকটে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় না থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে নিদারুণ কষ্টে সময় কাটছে। শীতের হাত থেকে বেঁচে থাকায় সকাল-সন্ধ্যায় খড়খুঁটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে তাদের। ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন বর্হিবিভাগে কয়েকশ রোগি প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভীড় করছে। প্রায় একই অবস্থা স্থানীয় বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। শীতের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত এইসব রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের।