রাজধানীতে যেসব কোরবানির গরুর হাট নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেসব হাটে দ্বন্দ্ব হলেই বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
তিনি বলেন, গরুর হাট নিয়ে যেন কোনোরকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। ঢাকা শহরে কোনো অবৈধ গরুর হাট বসবে না।
সোমবার দুপুরেপুলিশ সদর দফতরে ঈদপূর্ববর্তী আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া রাস্তার মধ্যে কোনো হাট বসবে না। ঢাকা শহরে দুই সিটি করপোরেশনের ২৩টির মতো জায়গায় গরুর হাট বসবে। গরুর হাট নিয়ে কোনো চাঁদাবাজিও সহ্য করা হবে না।
শহীদুল হক বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের মোটা অংকের টাকা লেনদেনের জন্য পুলিশ সহযোগিতা করবে। এজন্য প্রত্যেক হাটে পুলিশ ক্যাম্প ও নিরাপত্তা ক্যাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাল টাকা প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিন বসানো কথা বলা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, এবার রাজধানীর বাইরে কোনো পশুর চামড়া যাবে না। গরুর চামড়া পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নেবে। তবে বাইরে থেকে রজধানীতে চড়ামা আসতে পারবে।
তিনি বলেন, চমড়া যাতে বাইরে না যায় সে জন্য রাজধানীর বহির্গমন পথে সার্বক্ষণিক তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। কোরবানির সময় যানজটমুক্ত রাখতেরাজধানীর আশপাশে ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ জনগণের ভোগান্তি কোমানোর চেষ্টা করবে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে আইজিপি আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক একটি সভা করেন। সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি), দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি, ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।