হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। আর তাই হাসপাতালে আগত রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে অভিযোগের তীর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গোলাম মাওলার দিকে। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গোলাম মাওলা নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। তিনি নিয়মিত না আসায় ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবার মান।
এছাড়াও নিয়ন্ত্রণ নেই দালাল ও মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম। অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ রোগী। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে হাসপাতাল। যেন দেখার কেউ নেই।আর এ সুযোগে কর্মরত চিকিৎসকরাও হাসপাতালে নিয়মিত নির্ধারিত কক্ষে বসেন না। রোগীরা অপেক্ষা করে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত আউড ডোরের ১৩৬, ১৩৭, ১৩৮ ও ১২৫ নং কক্ষে চিকিৎসক এসে পৌঁছাননি। আবার একইভাবে কয়েকটি কক্ষ থেকে দুপুর ১২টা বাজার সাথে সাথে চিকিৎসক চলে গেছেন।এমন তথ্যই উঠে এসেছে টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি, কিশোরগঞ্জ-এর ইয়েস গ্রুপের পর্যবেক্ষণে।
সেবাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে সেবা কার্যক্রমে শৃঙখলা বজায় রাখা,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, দালাল ও মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম কমানো এবং তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সেবাগ্রহিতাদের সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে গতকাল টিআইবি কিশোরগঞ্জ-এর ইয়েস গ্রুপ টিআইবি’র কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত স্যাটেলাইট তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্রটি পরিচালনা করা হয়।
তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্রের মাধ্যম্যে ইয়েস সদস্যরা হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কিত তথ্য দূর-দূরান্ত থেকে আগত গরীব রোগী এবং রোগীদের সাথে আগত এটেনডেন্টদের অবহিত করেন যেন তারা প্রতারণা ও দুর্নীতির শিকার না হয়।
এ সময় ইয়েস সদস্যগণ বহির্বিভাগে আগত রোগীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও হাসপাতালে শৃঙ্খলা বজায় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। ইয়েস সদস্যগণ হাসপাতাল সেবা সম্পর্কিত ভাঁজপত্র বা লিফলেট রোগী এবং অন্যান্যদের মধ্যে বিতরণ করেন।
গতকাল দিন ভ্রাম্যমাণ তথ্য ও পরামর্শ-ডেস্ক এর মাধ্যমে ২৮ জন নারী সহ ৫২ জন রোগীকে তাদের সেবা প্রাপ্তিতে সরাসরি তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে এবং হাসপাতালে আগত ৩১০ জন নারীসহ মোট ৫৪১ জন রোগীকে সেবা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করে।
এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী-৩১ ও শিশু-১৮৭ জন। এছাড়্ওা শিশুরা কুকুরের কামড়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। আগত ভোক্তভোগী রোগী ও সুধীজনরা কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।