হাওর বার্তা ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজি ২০১৮ সালের প্রথম দিনটি শুরু করেছিলেন এক কড়া টুইটে। পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিয়ে। নববর্ষের দ্বিতীয় দিন গতকাল সন্ধ্যায় নতুন বছরের দ্বিতীয় টুইটবার্তায় ট্রাম্প এবার ক্ষোভ ঝাড়লেন ফিলিস্তিনের ওপর। হুমকি দিলেন সব আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেবেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বছরের প্রথম টুইটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেমন অবিরাম ‘মিথ্যাচার আর ঠগবাজি’র অভিযোগ তুলেছিলেন, দ্বিতীয় টুইটে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগের তর্জনী তুললেন ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ও সংলাপের সব পথ বন্ধ করে বসে আছে। তার ভাষায়, ‘ওরা আর আলোচনা চায় না; যুক্তরাষ্ট্র খামোকাই ওদের জন্য কোটি কোটি ডলারের সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে, অথচ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ওদের তরফে ন্যূনতম প্রশংসা বা শ্রদ্ধাটুকু পর্যন্ত নেই।’’
লক্ষ্য করার বিষয়, ট্রাম্প যেদিন পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়ে টুইট বার্তাটি দেন, ঠিক সেদিনই ঘণ্টাকয় পর হোয়াইট হাউস তা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করে। ট্রাম্প ও তার প্রশাসন আগে থেকে আঁটঘাট বেঁধেই যে তা করেছে তা স্পষ্ট।
ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে তেমনটা হওয়ার আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। কেননা ট্রাম্পের টুইটের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালিও সে সুরেই মন্তব্য করে বলেছেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থায় অর্থ দান বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প আরও বলেন, ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে বিতর্কিত স্বীকৃতি দেবার মধ্য দিয়ে জেরুজালেম ইস্যুকে আলোচনার টেবিল থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এটা তিনি করেছেন নতুন শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত করার জন্য।
যদিও স্বভাবে মুসলিম বিদ্বেষী ট্রাম্প আসলে ক্ষমতায় গেলে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেবেন বলে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ইহুদি লবির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তবায়ন করলেন গত ডিসেম্বরে।
ডিসেম্বরে ট্রাম্প যখন এই হঠকারি ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেন তখন ইসরায়েলের অব্যাহত দখলদারির শিকার, ন্যায়বিচারবঞ্চিত ফিলিস্তিন স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফিলিস্তিনিরা