ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চতা বাড়ানোর খাবার জেনে নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৩৫ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্দিষ্ট বয়সের পর শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। তবে অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার যোগ করার মাধ্যমে উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ খাদ্যাভ্যাস অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে এবং সঙ্গে থাকতে হবে পর্যাপ্ত শরীরচর্চা।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি উচ্চতা বাড়ানোর খাবারের নাম এখানে দেওয়া হলো-
সয়াবিন : আমিষ, ফোলেট, ভিটামিন, আঁশ এবং কার্বোহাইড্রেটের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস সয়াবিন। এ উপাদানগুলো হাড় ও কোষকলার ঘনত্ব বাড়ায়, ফলে উচ্চতা বাড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সয়াবিন খাওয়া।
ওটমিল : এ ধরনের আমিষ-সমৃদ্ধ খাবার হাড় ও কোষের ক্ষয়পূরণ করে। নতুন কোষকলা তৈরিতেও কার্যকর ওটমিল। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, যারা উচ্চতা বাড়াতে চান তাদের উচিত প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ৫০ গ্রাম ওটমিল খাওয়া।
সবুজ পত্রল শাক-সবজি : শরীর বৃদ্ধির হরমোনকে উজ্জীবিত করতে প্রয়োজনীয় খনিজ থেকে ভোজ্য আঁশ পর্যন্ত সবই মেলে সবুজ পত্রল শাক-সবজি থেকে। তাই এগুলো শরীরের উচ্চতা বাড়াতে সক্ষম।
বাদাম ও বীজ : চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ার বীজ, শণের বীজ ইত্যাদিতে থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা কোষের ক্ষয়পূরণ ও নতুন কোষকলা তৈরিতে সহায়ক।
মাছ : স্যামন, টুনা, সার্ডিন ইত্যাদি আমিষ ও ভিটামিন ডি’র প্রাকৃতিক উৎস, যা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য জরুরি। হাড়ের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়াতেও এসব উপাদান কার্যকর।
ডিম : শারীরিক গঠন ধরে রাখার ক্ষেত্রে ডিমের বিকল্প নেই। উৎকৃষ্ট মানের আমিষের দারুন উৎস এটি. যা শক্তিশালী হাড় ও সুস্বাস্থ্য তৈরিতে অনন্য। তবে উচ্চতা বাড়াতে কুসুম বাদ দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে ছয়টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
মুরগির মাংস : কোষকলা ও পেশি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস মুরগির মাংস। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব এটা যারা বিশ্বাস করেন না, তারা বরং প্রতিদিন ৫০ গ্রাম মুরগির মাংস খেয়ে দেখতে পারেন।
কলা : উচ্চতা বাড়ানোর ফল, যা পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, স্বাস্থ্যকর প্রো-বায়োটিক ব্যাকটেরিয়াতে ভরপুর। হাড়ের ওপর সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব নিষ্ক্রিয় করতে এবং হাড়ে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বাড়াতেও কলা উপকারী।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উচ্চতা বাড়ানোর খাবার জেনে নিন

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্দিষ্ট বয়সের পর শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। তবে অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার যোগ করার মাধ্যমে উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ খাদ্যাভ্যাস অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে এবং সঙ্গে থাকতে হবে পর্যাপ্ত শরীরচর্চা।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি উচ্চতা বাড়ানোর খাবারের নাম এখানে দেওয়া হলো-
সয়াবিন : আমিষ, ফোলেট, ভিটামিন, আঁশ এবং কার্বোহাইড্রেটের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস সয়াবিন। এ উপাদানগুলো হাড় ও কোষকলার ঘনত্ব বাড়ায়, ফলে উচ্চতা বাড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সয়াবিন খাওয়া।
ওটমিল : এ ধরনের আমিষ-সমৃদ্ধ খাবার হাড় ও কোষের ক্ষয়পূরণ করে। নতুন কোষকলা তৈরিতেও কার্যকর ওটমিল। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, যারা উচ্চতা বাড়াতে চান তাদের উচিত প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ৫০ গ্রাম ওটমিল খাওয়া।
সবুজ পত্রল শাক-সবজি : শরীর বৃদ্ধির হরমোনকে উজ্জীবিত করতে প্রয়োজনীয় খনিজ থেকে ভোজ্য আঁশ পর্যন্ত সবই মেলে সবুজ পত্রল শাক-সবজি থেকে। তাই এগুলো শরীরের উচ্চতা বাড়াতে সক্ষম।
বাদাম ও বীজ : চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ার বীজ, শণের বীজ ইত্যাদিতে থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা কোষের ক্ষয়পূরণ ও নতুন কোষকলা তৈরিতে সহায়ক।
মাছ : স্যামন, টুনা, সার্ডিন ইত্যাদি আমিষ ও ভিটামিন ডি’র প্রাকৃতিক উৎস, যা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য জরুরি। হাড়ের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়াতেও এসব উপাদান কার্যকর।
ডিম : শারীরিক গঠন ধরে রাখার ক্ষেত্রে ডিমের বিকল্প নেই। উৎকৃষ্ট মানের আমিষের দারুন উৎস এটি. যা শক্তিশালী হাড় ও সুস্বাস্থ্য তৈরিতে অনন্য। তবে উচ্চতা বাড়াতে কুসুম বাদ দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে ছয়টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
মুরগির মাংস : কোষকলা ও পেশি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস মুরগির মাংস। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব এটা যারা বিশ্বাস করেন না, তারা বরং প্রতিদিন ৫০ গ্রাম মুরগির মাংস খেয়ে দেখতে পারেন।
কলা : উচ্চতা বাড়ানোর ফল, যা পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, স্বাস্থ্যকর প্রো-বায়োটিক ব্যাকটেরিয়াতে ভরপুর। হাড়ের ওপর সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব নিষ্ক্রিয় করতে এবং হাড়ে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বাড়াতেও কলা উপকারী।