হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখতে দেখতে বছরটি শেষ হয়ে গেল। প্রতিবারই যখন বছর শেষ হয় তখন আমি চাই কিংবা নাই চাই, বছরটি কেমন কেটেছে সেটা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। এ বছর যখন বিষয়টা চিন্তা করছি তখন সবার আগে মনে পড়ল এ বছর ক্লাস ওয়ানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।
অন্যরা বিষয়টাকে কীভাবে নিয়েছে আমি জানি না কিন্তু আমার মনে হয়, বাকি জীবনে এটা ভুলতে পারব না যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ক্লাস ওয়ানের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল।
এ দেশে এখন যে শিক্ষা নীতিটি রয়েছে আমি তার প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। আমার যতদূর মনে পড়ে সেখানে আমরা বলেছিলাম স্কুলের বাচ্চাদের প্রথম তিন বছর কোনো পরীক্ষাই থাকবে না।
কিন্তু আমরা বেশ অবাক হয়ে আবিষ্কার করেছি শুধু ক্লাস ওয়ান নয় প্রি-স্কুলে পর্যন্ত বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং সেই পরীক্ষা নিয়ে বাবা মা’দের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়।
ক্লাস ওয়ানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অর্থ এ পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধারণা হয়েছে ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদেরও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হবে এবং সেটা করার জন্য প্রশ্নটা ফাঁস করিয়ে বাচ্চাদের সেই ফাঁস করা প্রশ্ন মুখস্থ করিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাতে হবে।
আমি যখন খবরটি দেখেছি তখন আমি কি হাসব না কাঁদব নাকি দেয়ালে মাথা কুটতে থাকব কিছুই বুঝতে পারিনি। ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন নিযে অভিভাবকরা তাদের ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাকে কী বুঝিয়েছিলেন আমার জানার খুব ইচ্ছে করে!
অবশ্যই এ বছরের সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঘটনা। এতদিনে আমরা সবাই জেনে গেছি মিয়ানমারের মিলিটারি জেনারেলরা, তাদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফটোজেনিক নেত্রী, সেই দেশের সাধারণ মানুষ সবাই মিলে ঠিক করেছে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে রাখা যাবে না।
কাজেই রোহিঙ্গাদের অমানুষিক নিষ্ঠুরতায় খুন করা হতে লাগল, কোনো একটি হিসাবে এক মাসেই নয় হাজার নিরীহ মানুষ এবং সাত থেকে আটশ’