২০১৮ সালেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে মন্তব্য করেছে : খসরু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উচ্চ মূল্য দিয়ে ২০১৮ সালেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক গণ বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রতিবেশীর ভূমিকা’’ শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।

এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর। আর আপনারা (সরকার) যদি মানুষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যান তাহলে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। একইসঙ্গে অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে।’

খসরু বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোন সম্পৃক্তা নেই। এটা জেনে শুনেও সরকার সেই পথেই যাচ্ছে। কারণ তাদের আর কোনও পথ নেই। আমি বলতে চাই, সে পথে সরকার না গেলেই তাদের জন্য ভালো হবে। কারণ এই সরকার ও দল বিগত দিনে এ পথেই চলেছে। আমি তাদের বলতে চাই, সেই পিচ্ছিল পথে আর যাবেন না। সেই পিচ্ছিল পথে দয়া করে আর চলবেন না। সেই পথে চলতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বড় মূল্য দিতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রজেক্টের একটি অংশ। এই প্রজেক্টের কাজ হলো, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল। এই প্রজেক্টের আওতায় তারা অনেকগুলো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে, গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলা, জেল, মানুষকে পঙ্গু করা, এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাসী সৃষ্টি, সম্পদ ও ব্যবসা দখল করা। সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, বেগম জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখা। আর এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা।’

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ‘রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৬০ শতাংশ ভোট কমেছে, আর বিএনপির ৪০ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এই অনুপাতটা সারাদেশে চিন্তা করেন। আমি আওয়ামী লীগের একটি আসনও জেতার কারণ দেখতে পাচ্ছি না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে গণ বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিলারা চৌধুরী,পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন,জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর