ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে রসুন ও চিনির দাম, সুখবর নেই সবজিতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩৭২ বার

দেশি ও আমদানিকৃত উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম আরেক দফা কমেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চিনি, রসুন ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। আর ১০ দিন আগে এর দাম ১০০ টাকায় স্পর্শ করেছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা বাজারে নেই বললেই চলে। তবে পাকিস্তানি ও বার্মিজ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এদিকে সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এবং চীনা রসুনের দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। তবে আদা আগের মতোই মানভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও সবজি ও কাঁচামালে কোনো সুখবর নেই। উত্তরাঞ্চলে বন্যায় সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সারাদেশে টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে সবজি উত্তোলন ও পরিবহন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এ জন্যই দাম কমছে না। গতকাল বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, কাঁকরোল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, বরবটি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একইভাবে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
মাছের মধ্যে মাঝারি আকারের ইলিশের জোড়া ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। রুই কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, হালিতে ২ টাকা কমে খামারের মুরগির ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতিকেজি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা, খাসি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা, ব্রয়লাম মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোয় চিনির দাম বাড়তির দিকে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১২৫ টাকা, সয়াবিন ৫ লিটার ৪৮০ টাকা, চালের মধ্যে মিনিকেট ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, নাজিরশাইল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, আটাশ ৩৩ থেকে ৩৬ টাকা এবং চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭২ টাকায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বেড়েছে রসুন ও চিনির দাম, সুখবর নেই সবজিতে

আপডেট টাইম : ১২:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দেশি ও আমদানিকৃত উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম আরেক দফা কমেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চিনি, রসুন ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। আর ১০ দিন আগে এর দাম ১০০ টাকায় স্পর্শ করেছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা বাজারে নেই বললেই চলে। তবে পাকিস্তানি ও বার্মিজ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এদিকে সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এবং চীনা রসুনের দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। তবে আদা আগের মতোই মানভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও সবজি ও কাঁচামালে কোনো সুখবর নেই। উত্তরাঞ্চলে বন্যায় সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সারাদেশে টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে সবজি উত্তোলন ও পরিবহন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এ জন্যই দাম কমছে না। গতকাল বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, কাঁকরোল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, বরবটি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একইভাবে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
মাছের মধ্যে মাঝারি আকারের ইলিশের জোড়া ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। রুই কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, হালিতে ২ টাকা কমে খামারের মুরগির ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতিকেজি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা, খাসি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা, ব্রয়লাম মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোয় চিনির দাম বাড়তির দিকে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১২৫ টাকা, সয়াবিন ৫ লিটার ৪৮০ টাকা, চালের মধ্যে মিনিকেট ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, নাজিরশাইল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, আটাশ ৩৩ থেকে ৩৬ টাকা এবং চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭২ টাকায়।