হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইটি নকল মধু তৈরির কারখানার সন্ধ্যান পেয়েছেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক টিম। গতকাল দিবাগত রাতে শহরের কমলপুর নিউটাউন এলাকায় মফিজুল মিয়া ও ফারুক মাস্টারের বাসায় অভিযান চালিয়ে কারখানা দুইটির সন্ধ্যান পায় র্যাব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আহমেদ পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ওই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।
র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১৪, ভৈরব ক্যাম্প সূত্র জানায়, গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার ও উপ-পরিচালক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শহরের কমলপুর নিউটাউন এলাকার মফিজুল মিয়া ও ফারুক মাস্টারের বাসায় গড়ে ওঠা দুইটি নকল মধু তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র্যাব। এ সময় ১০ ব্যক্তিকে আটকসহ ২০০ লিটার মধু জব্দ করা হয়।
পরে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আহমেদ পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত আটক কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার ওয়াংকম ইউনিয়নের হরিখোলা গ্রামের সিপুসিং চাকমার ছেলে রবি চাকমাকে ১৫ দিন, মংচিয়ংয়ের ছেলে চাইকোওল্লাকে ৭ দিন, মংপুতাইন চাকমার ছেলে মতিলাল চাকমাকে ৩ দিন, মংসু চাকমার ছেলে মংএলা নিলয় চাকমাকে ৩ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
১০জনের মধ্যে দুইজন অসুস্থ্য এবং ৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় আদালত।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর নাজমুল আরেফিন পরাগ জানান, ওই এলাকায় উপজাতি হওয়ার সুযোগ নিয়ে ‘পাহাড়ি জঙ্গলের খাঁটি মধু’ বলে প্রচার চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মধু বিক্রি করে আসছিল এই চক্রটি। কিন্তু খাঁটি মধু বিক্রির আড়ালে ওই দুইটি কারখানায় ফিটকিরি ও চিনি মিশিয়ে জনগণকে প্রতারিত করে আসার খবর পেয়ে র্যাব অনুসন্ধানে নামে। পরে বিষয়টি প্রমাণিত হলে এই অভিযান চালানো হয়।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আহমেদ জানান, র্যাবের অভিযানে আটকের পর ভোক্তা অধিকার নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আটককৃতদের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে আটক দুইশ লিটার ভেজাল ও নকল মধু। মধু তৈরির সরঞ্জাম জব্দসহ কারখানা দুটিকে সীলগালা করা হয়েছে।