চলতি বছর হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে এ পর্যন্ত ১০ বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। মক্কায় অবস্থানরত বাংলাদেশ হজ মিশনের আইটি বিভাগ মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে ১৫জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এদের মধ্য মক্কায় ১২ জন আর মদিনায় ৬ জন মারা যান।
মৃতরা হলেন-জামালপুর জেলার মোঃ জহরুল হক (৬১), ময়মনসিংহ জেলার মোঃ আব্দুল জলিল (৮৭), ঢাকার রমনা এলাকার বাহরুল হোসাইন (৬৯), কুমিল্লা জেলার মোঃ সোহেল আহমেদ (৩৬), মাদারীপুর জেলার মোঃ হামেদ হাওলাদার (৬৬) , ঢাকা জেলার বদিউজ্জামান (৬২) , কিশোরগঞ্জ জেলার মোঃ আব্দুল আসেন (৬৯), বগুড়া জেলার মনিকা মুস্তারি আরজু (৪৩), নরসিংদী জেলার আব্দুর রহমান মিয়া (৬৫), চট্টগ্রাম জেলার লায়লা বেগম (৭২), গাইবান্ধা জেলার মোসাম্মৎ মারুফা শায়লা (৩৭), নওগাঁ জেলার মোহাম্মদ আফজাল হোসেন (৭৯), যশোর জেলার মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৭৭), কুমিল্লা জেলার মোহাম্মদ গাজী রহমান (৭৭), শেরপুর জেলার মোহাম্মদ কাজিম উদ্দিন (৫৯), দিনাজপুর জেলার মোহাম্মদ আমবার আলী (৫২), ঢাকার শাহজাহানপুরেরমীর লিয়াকত আলী (৬১) ও কুমিল্লা জেলার সফিকুল ইসলাম (৬৫)।
সৌদি আরবে যাওয়া মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৭৮) নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আতিয়ার রহমান সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট নম্বর বিই-০৯৮৬৩৭৮। হজ আইডি নম্বর ১০৯৮০৩৯।
লাশ দাফনের ব্যাপারে জানতে চাইলে মঈন উদ্দিন বলেন, সাধারণত মৃত হজযাত্রীদের লাশ দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। যারা মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন তাদের মক্কায় আর যারা মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন তাদের মদিনাতেই দাফন করা হয়।
এবং মরহুম হজযাত্রী মনিকা মুস্তারী আরজু (৪৩), তিনি সোমবার রাত ২টার দিকে মক্কার আল নূর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি স্বপ্নপুরী ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে হজ পালনের উদ্দেশে গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৫০১১ ফ্লাইটে সৌদি আরব আসেন। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার হাউজিং এলাকায়। এবং তার পাসপোর্ট নম্বর বিই-০২২১৪৮৭।