ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের মানুষ চুরি ছিনতাই ও স্প্রে আতঙ্কে আছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরশহরে চুরি, ছিনতাই ও স্প্রে পার্টির তৎপরতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের ব্যবধানে পর পর দুটি স্প্রে পার্টি ও একটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।

গতকাল সন্ধ্যায় শহরের ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জাকির মিয়ার বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া হাজী হিরা মিয়ার পরিবারের খাবারের সাথে স্প্রে মেরে ৬ জনকে অজ্ঞান করার খবর নিশ্চিত করেছেন ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ।

স্প্রে মিশ্রিত খাবার খেয়ে অক্রান্তরা হলেন হাজি হীরা মিয়া (৬৫), হাবিবুল্লা মিয়া (৩০), প্রিতম (২০), এবি (১৫), পরিষ্কার বানু (৫৫) ও তানিয়া (২০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন হাজি হীরা মিয়াসহ পরিবারের ৬জন।

৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে চেতনানাশক কোনো দ্রব্য খাবারে স্প্রে করার কারণে রাতের খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক খুশবো জানান, চেতনানাশক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোখলেছুর রহমান জানান, রাতের খাবার খাওয়ার পর তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

গত ১৯ ডিসেম্বর রাতের বেলা একই এলাকার হাজি তেলু মিয়ার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে একই পরিবারের ১৩ সদস্যকে অজ্ঞান করেছে দুর্বৃত্তরা। আক্রান্তদের মধ্যে রুবেল (২৪), জিয়াসমিন (৩০) নিন্তাকে (৮) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন চিকিৎসক। আর ফুলমেহের (৭০), শিশু মিয়া (৪৮) রিতা বেগম (৪০), রিগান মিয়া (২৭), প্রিয়া (২২), রাকিব (৪), রাসেল (১৮), মেয়ে মাহিমা (১৫), জুয়েল মিয়া ও নরীনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২০ ডিসেম্বর ভৈরব শহরের নাটালের টোল প্লাজার অদূরে দুপুরের সময় ছিনতাইকারীরা পথচারী মিজানুর রহমানকে (৩০) গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার সাথে থাকা নগদ টাকাসহ মোবাইল নিয়ে যায়।

এছাড়া প্রতিদিন ভোর ও মধ্যরাতে ভৈরব স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা, গাছতলা ঘাট ব্রিজ, গাছতলা ঘাট বাজার এলাকা, শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রামশংকরপুর, চানপুর ব্রিজ ও রাজাকাটা গ্রামে প্রায়ই চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের মানুষ চুরি ছিনতাই ও স্প্রে আতঙ্কে আছে

আপডেট টাইম : ০৩:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরশহরে চুরি, ছিনতাই ও স্প্রে পার্টির তৎপরতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের ব্যবধানে পর পর দুটি স্প্রে পার্টি ও একটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।

গতকাল সন্ধ্যায় শহরের ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জাকির মিয়ার বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া হাজী হিরা মিয়ার পরিবারের খাবারের সাথে স্প্রে মেরে ৬ জনকে অজ্ঞান করার খবর নিশ্চিত করেছেন ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ।

স্প্রে মিশ্রিত খাবার খেয়ে অক্রান্তরা হলেন হাজি হীরা মিয়া (৬৫), হাবিবুল্লা মিয়া (৩০), প্রিতম (২০), এবি (১৫), পরিষ্কার বানু (৫৫) ও তানিয়া (২০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন হাজি হীরা মিয়াসহ পরিবারের ৬জন।

৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে চেতনানাশক কোনো দ্রব্য খাবারে স্প্রে করার কারণে রাতের খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক খুশবো জানান, চেতনানাশক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোখলেছুর রহমান জানান, রাতের খাবার খাওয়ার পর তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

গত ১৯ ডিসেম্বর রাতের বেলা একই এলাকার হাজি তেলু মিয়ার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে একই পরিবারের ১৩ সদস্যকে অজ্ঞান করেছে দুর্বৃত্তরা। আক্রান্তদের মধ্যে রুবেল (২৪), জিয়াসমিন (৩০) নিন্তাকে (৮) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন চিকিৎসক। আর ফুলমেহের (৭০), শিশু মিয়া (৪৮) রিতা বেগম (৪০), রিগান মিয়া (২৭), প্রিয়া (২২), রাকিব (৪), রাসেল (১৮), মেয়ে মাহিমা (১৫), জুয়েল মিয়া ও নরীনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২০ ডিসেম্বর ভৈরব শহরের নাটালের টোল প্লাজার অদূরে দুপুরের সময় ছিনতাইকারীরা পথচারী মিজানুর রহমানকে (৩০) গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার সাথে থাকা নগদ টাকাসহ মোবাইল নিয়ে যায়।

এছাড়া প্রতিদিন ভোর ও মধ্যরাতে ভৈরব স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা, গাছতলা ঘাট ব্রিজ, গাছতলা ঘাট বাজার এলাকা, শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রামশংকরপুর, চানপুর ব্রিজ ও রাজাকাটা গ্রামে প্রায়ই চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।