ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২৯০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির ধার্য দিন ছিল গত সোমবার। ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম এবং বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমানের পক্ষে অভিযোগ শুনানি করেন তাদের আইনজীবীরা।

মামলার প্রধান আসামী খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা প্রদান করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীর আগামী ১৫ জানুয়ারি অপর আসামিদের পক্ষে অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। মামলাটিতে ১১ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের অভিযোগ শুনানি শেষ হয়েছে। খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩টি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডিয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে মামলাটি করা হয় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বরে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।

তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন-চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি

আপডেট টাইম : ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির ধার্য দিন ছিল গত সোমবার। ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম এবং বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমানের পক্ষে অভিযোগ শুনানি করেন তাদের আইনজীবীরা।

মামলার প্রধান আসামী খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা প্রদান করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীর আগামী ১৫ জানুয়ারি অপর আসামিদের পক্ষে অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। মামলাটিতে ১১ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের অভিযোগ শুনানি শেষ হয়েছে। খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩টি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডিয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে মামলাটি করা হয় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বরে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।

তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন-চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।