ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হজযাত্রীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সৌদি আরব হজযাত্রীদর জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী হজ মৌসুম থেকে এটি কার্যকর করা হবে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এ কর্মকর্তা বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হজযাত্রীরা পবিত্র হজব্রত পালরে উদ্দেশে জেদ্দা ও মদিনা গমনের জন্য বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের জন্য প্রি-ক্লিয়ারেন্স পাবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিসুর রহমান বাসসকে বলেন, ‘এর ফলে হজযাত্রীদের সৌদি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পয়েন্টগুলোতে দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষার ঝমেলা পোহাতে হবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স চালু করার উপায় খুঁজে বের করতে শিগিগির সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসবে।
তিনি বলেন, সৌদি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ফিরে যাওয়ার আগেই এখানে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। আনিসুর রহমান বলেন, সরকার সৌদি কর্তৃপক্ষকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট দেশের এই তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ক’টিতে প্রি-ক্লিয়ারেন্স চালুর অনুরোধ জানাবে।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাসলিম সৌদি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে তুলবে। আমাদের দেশের হজযাত্রীরা সৌদি বিমান বন্দরে নেমে সোজা লাগেজ এরিয়ায় চলে যেতে পারবেন।
সৌদি আরবের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১৮ সালে এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তি আগামী বছরের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
তিনি জানান, সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় চলতি বছর হজ মৌসুমে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন করেছে। সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান প্রতি বছর হজ করতে সৌদি আরবে যান। আর ঠিক ওই সময়টাতেই সৌদি আরবের আর্থিক লেনদেনের হার অনেকটাই বেড়ে যায়।

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা আসে যে সৌদি আরবে হজ আর আল-উমরাহ-করতে যেসব মুসলমান যান, তাঁদের কাছ থেকে দেশটি আসলে কত অর্থ রোজগার করে ? সৌদি আরবের অর্থনীতির কত ভাগ এই রোজগার থেকে আসে ?
এই বিষয় নিয়ে বিবিসির ফার্সি বিভাগের আলী কাদিমি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
অর্থের অঙ্ক বের করতে গেলে প্রথমেই দেখা দরকার -হজ করতে ঠিক কত সংখ্যক মুসলমান সৌদি আরবে যান ?
গত বছর মোট ৮৩ লক্ষ মানুষ হজ করতে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আল-উমরাহতেও গিয়েছিলেন।
গত এক দশকে গড়ে ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ করেছেন।
এর মধ্যে আবার দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রথমত, বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিটি দেশ থেকে কত মানুষ হজে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব।
এটাও মাথায় রাখতে হবে যে সৌদি আরবের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও কিন্তু হজে যান। যদিও তাঁরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হতেই পারেন।
গত বছর সৌদি আরবের যত বাসিন্দা হজে গিয়েছিলেন, সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
কিন্তু গত দশ বছর ধরেই মোটামুটিভাবে হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা।
এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ সেরে নেন অনেকে।
হজে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া গেলেও সারা বছর ধরে উমরাহ করতে যাওয়া যায়। যেমন গত বছরই প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ উমরাহ করতে গিয়েছিলেন।
নানা দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে গেছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই উমরাহ করতে গেছেন।
সাত বছর আগে উমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি।
সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী আগামী চার বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে এক কোটি ২০ লক্ষ হয়ে যাবে।

গত বছর হজ থেকে সৌদি আরবের সরাসরি রোজগার হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।
সৌদি আরবে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন ওখানে গিয়ে।
এই অর্থের একটা বড় অংশ কিন্তু সৌদি অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে।
মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪৬০০ ডলার, আর স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১৫০০ ডলার ব্যয় করেন।
তবে একেক দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩০০০ ডলার খরচ লাগে।
এর মধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়।
পাকিস্তান, বাংলাদেশের যাত্রীদেরও মোটামুটি একইরকম খরচ হয়।
ইরান থেকে আসা এক হজ যাত্রী নাম উল্লেখ না করার শর্তে বিবিসির ফার্সী বিভাগকে জানিয়েছেন যে এ বছর তাঁর হজের বাজেট প্রায় আট হাজার ডলার।
এর মধ্যে নিশ্চয়ই তাঁর ব্যক্তিগত খরচও ধরা আছে। তবে কোনো না কোনোভাবে অর্থটা সৌদি অর্থনীতিতেই ঢুকছে।
বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে দুই লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ প্রতি বছর হজে যান। এটা মোট হজযাত্রী সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ।
এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) আর বাংলাদেশ (৮%)।
নাইজেরিয়া, ইরান, তুর্কি, মিশর -এই দেশগুলোরও কোটা মোটামুটি একই রকম।
অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে সৌদি আরবের যা রোজগার হয়, তার থেকেও বেশি আয় করে তারা হজ থেকে।
তবে তারা চেষ্টা করছে তেল বিক্রি করে তাদের আয় আরও বাড়াতে।
ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ ধারণা করছে, তেল উৎপাদন কম করার ব্যাপারে ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার এ বছর শূন্যে নেমে যাবে।
সেদেশের সরকার সেই ক্ষতিটা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।
যার মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র হলো ধর্মীয় পর্যটন থেকে আয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হজযাত্রীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হচ্ছে

আপডেট টাইম : ১২:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সৌদি আরব হজযাত্রীদর জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী হজ মৌসুম থেকে এটি কার্যকর করা হবে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এ কর্মকর্তা বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হজযাত্রীরা পবিত্র হজব্রত পালরে উদ্দেশে জেদ্দা ও মদিনা গমনের জন্য বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের জন্য প্রি-ক্লিয়ারেন্স পাবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিসুর রহমান বাসসকে বলেন, ‘এর ফলে হজযাত্রীদের সৌদি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পয়েন্টগুলোতে দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষার ঝমেলা পোহাতে হবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স চালু করার উপায় খুঁজে বের করতে শিগিগির সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসবে।
তিনি বলেন, সৌদি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ফিরে যাওয়ার আগেই এখানে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। আনিসুর রহমান বলেন, সরকার সৌদি কর্তৃপক্ষকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট দেশের এই তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ক’টিতে প্রি-ক্লিয়ারেন্স চালুর অনুরোধ জানাবে।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাসলিম সৌদি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে তুলবে। আমাদের দেশের হজযাত্রীরা সৌদি বিমান বন্দরে নেমে সোজা লাগেজ এরিয়ায় চলে যেতে পারবেন।
সৌদি আরবের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১৮ সালে এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তি আগামী বছরের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
তিনি জানান, সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় চলতি বছর হজ মৌসুমে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে প্রি-ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন করেছে। সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান প্রতি বছর হজ করতে সৌদি আরবে যান। আর ঠিক ওই সময়টাতেই সৌদি আরবের আর্থিক লেনদেনের হার অনেকটাই বেড়ে যায়।

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা আসে যে সৌদি আরবে হজ আর আল-উমরাহ-করতে যেসব মুসলমান যান, তাঁদের কাছ থেকে দেশটি আসলে কত অর্থ রোজগার করে ? সৌদি আরবের অর্থনীতির কত ভাগ এই রোজগার থেকে আসে ?
এই বিষয় নিয়ে বিবিসির ফার্সি বিভাগের আলী কাদিমি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
অর্থের অঙ্ক বের করতে গেলে প্রথমেই দেখা দরকার -হজ করতে ঠিক কত সংখ্যক মুসলমান সৌদি আরবে যান ?
গত বছর মোট ৮৩ লক্ষ মানুষ হজ করতে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আল-উমরাহতেও গিয়েছিলেন।
গত এক দশকে গড়ে ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ করেছেন।
এর মধ্যে আবার দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রথমত, বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিটি দেশ থেকে কত মানুষ হজে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব।
এটাও মাথায় রাখতে হবে যে সৌদি আরবের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও কিন্তু হজে যান। যদিও তাঁরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হতেই পারেন।
গত বছর সৌদি আরবের যত বাসিন্দা হজে গিয়েছিলেন, সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
কিন্তু গত দশ বছর ধরেই মোটামুটিভাবে হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা।
এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ সেরে নেন অনেকে।
হজে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া গেলেও সারা বছর ধরে উমরাহ করতে যাওয়া যায়। যেমন গত বছরই প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ উমরাহ করতে গিয়েছিলেন।
নানা দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে গেছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই উমরাহ করতে গেছেন।
সাত বছর আগে উমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি।
সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী আগামী চার বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে এক কোটি ২০ লক্ষ হয়ে যাবে।

গত বছর হজ থেকে সৌদি আরবের সরাসরি রোজগার হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।
সৌদি আরবে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন ওখানে গিয়ে।
এই অর্থের একটা বড় অংশ কিন্তু সৌদি অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে।
মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪৬০০ ডলার, আর স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১৫০০ ডলার ব্যয় করেন।
তবে একেক দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩০০০ ডলার খরচ লাগে।
এর মধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়।
পাকিস্তান, বাংলাদেশের যাত্রীদেরও মোটামুটি একইরকম খরচ হয়।
ইরান থেকে আসা এক হজ যাত্রী নাম উল্লেখ না করার শর্তে বিবিসির ফার্সী বিভাগকে জানিয়েছেন যে এ বছর তাঁর হজের বাজেট প্রায় আট হাজার ডলার।
এর মধ্যে নিশ্চয়ই তাঁর ব্যক্তিগত খরচও ধরা আছে। তবে কোনো না কোনোভাবে অর্থটা সৌদি অর্থনীতিতেই ঢুকছে।
বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে দুই লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ প্রতি বছর হজে যান। এটা মোট হজযাত্রী সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ।
এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) আর বাংলাদেশ (৮%)।
নাইজেরিয়া, ইরান, তুর্কি, মিশর -এই দেশগুলোরও কোটা মোটামুটি একই রকম।
অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে সৌদি আরবের যা রোজগার হয়, তার থেকেও বেশি আয় করে তারা হজ থেকে।
তবে তারা চেষ্টা করছে তেল বিক্রি করে তাদের আয় আরও বাড়াতে।
ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ ধারণা করছে, তেল উৎপাদন কম করার ব্যাপারে ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার এ বছর শূন্যে নেমে যাবে।
সেদেশের সরকার সেই ক্ষতিটা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।
যার মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র হলো ধর্মীয় পর্যটন থেকে আয়।