হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীসহ মোট ছয়জনকে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ‘জ্যামার’ অকার্যকর করার সরঞ্জামসহ প্রশ্ন ফাঁসের বেশ কিছু ইলেকট্রিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত হিসেবে সিআইডির তালিকাভুক্ত। আরেকজন নিজেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলে দাবি করেছেন।
আজ সকালে নগরীর আরশেদ আলী কনট্রাক্টর গলির নাহার ম্যানসনে’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান বাকীর ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মারুফ হোসাইন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আলমগীর হোসেন শাহিন, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহামুদুল হাসান আবিদ, পটুয়াখালী গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাব্বির আহমেদ প্রীতম এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রাকিব আকনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ব্লুটুথ, একটি হেডফোন, পাঁচটি এটিএম কার্ড ডিভাইস এবং ১১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহ করার চেষ্টা করছিল আটককৃতরা।
গতকাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার হলে প্রথমবারের মতো জ্যামার মেশিন স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ আরও জানায়, এই জ্যামার মেশিনকে অকার্যকর করে হলে থাকা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহের চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন আটককৃতরা। তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন শাহিন নিজেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে দাবি করেছেন। এর মধ্যে মারুফ হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির তালিকাভুক্ত।