ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালাহ উদ্দিনের কিছু হলে সরকারই এ জন্য দায়ী থাকবে : ড. এমাজউদ্দীন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
  • ৫৯০ বার
সরকারের উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ”এখনো সময় আছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা চার্জশিট প্রত্যাহার করুন। কোনো সভ্য সমাজ আপনাদের এই হীন মিথ্যাচার মেনে নেবে না।” এ সময় তিনি আরো বলেন, ”সালাহ উদ্দিনের মতো একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে নিয়ে সরকার যে খেলায় মেতেছে তা অকল্পনীয়। এই নেতার কিছু হলে সরকারকেই তার দায় নিতে হবে।”
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা চার্জশিট প্রত্যাহার এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এমাজউদ্দীন বলেন, ”বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদকে কিভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিভাবে তিনি শিলংয়ে পৌঁছেছেন, কোথায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল এসব বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জাতির কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরা জরুরি। আর সরকার সেটা না করে যে খেলায় মেতেছে তা অকল্পনীয়।”
তিনি বলেন, ”সালাহ উদ্দিনকে কিভাবে শিলংয়ে ফেলে রাখা হয়েছে তার মূল তথ্য বাংলার ১৬ কোটি মানুষ জানতে চায়। কিন্তু সরকার যদি তা চেপে রাখে তাহলে ভবিষ্যৎ কখনো ক্ষমা করবে না। তার কিছু হলে সরকারই এর জন্য দায়ী থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, ”সরকারদলীয় অনেক মন্ত্রীরা বলছেন- সালাহ উদ্দিন আহমদ নাকি নিজেই পালিয়েছেন। আসলে এগুলো কোনো কথা নয়, এগুলো হলো কুকথা। কি এমন হয়েছে যে তিনি লুকিয়ে থাকবেন?”
সরকারি বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে প্রবীণ এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ”সরকারে কিছু বুদ্ধিমান লোক বলছে- গণতন্ত্র কিসের জন্য, আগে উন্নয়ন দরকার। আমি এসব আধা শিক্ষিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে বলছি- জাতীয় অগ্রগতির জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো সভ্য জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সালাহ উদ্দিনের কিছু হলে সরকারই এ জন্য দায়ী থাকবে : ড. এমাজউদ্দীন

আপডেট টাইম : ০৫:১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
সরকারের উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ”এখনো সময় আছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা চার্জশিট প্রত্যাহার করুন। কোনো সভ্য সমাজ আপনাদের এই হীন মিথ্যাচার মেনে নেবে না।” এ সময় তিনি আরো বলেন, ”সালাহ উদ্দিনের মতো একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে নিয়ে সরকার যে খেলায় মেতেছে তা অকল্পনীয়। এই নেতার কিছু হলে সরকারকেই তার দায় নিতে হবে।”
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা চার্জশিট প্রত্যাহার এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এমাজউদ্দীন বলেন, ”বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদকে কিভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিভাবে তিনি শিলংয়ে পৌঁছেছেন, কোথায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল এসব বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জাতির কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরা জরুরি। আর সরকার সেটা না করে যে খেলায় মেতেছে তা অকল্পনীয়।”
তিনি বলেন, ”সালাহ উদ্দিনকে কিভাবে শিলংয়ে ফেলে রাখা হয়েছে তার মূল তথ্য বাংলার ১৬ কোটি মানুষ জানতে চায়। কিন্তু সরকার যদি তা চেপে রাখে তাহলে ভবিষ্যৎ কখনো ক্ষমা করবে না। তার কিছু হলে সরকারই এর জন্য দায়ী থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, ”সরকারদলীয় অনেক মন্ত্রীরা বলছেন- সালাহ উদ্দিন আহমদ নাকি নিজেই পালিয়েছেন। আসলে এগুলো কোনো কথা নয়, এগুলো হলো কুকথা। কি এমন হয়েছে যে তিনি লুকিয়ে থাকবেন?”
সরকারি বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে প্রবীণ এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ”সরকারে কিছু বুদ্ধিমান লোক বলছে- গণতন্ত্র কিসের জন্য, আগে উন্নয়ন দরকার। আমি এসব আধা শিক্ষিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে বলছি- জাতীয় অগ্রগতির জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো সভ্য জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।