ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপালী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৫
  • ৪০০ বার

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখিয়ে দুই বছর বেশি চাকরি করেছেন। এখন তৃতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক দায়িত্বে আছেন।তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এসএসসি সনদ অনুযায়ী ফরিদ উদ্দিনের জন্ম ১৯৫২ সালের ৮ জুলাই। নিয়ম অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তার বয়স ৫৭ বছর হলে তাকে অবসরে যেতে হয়। সে হিসাবে ২০০৯ সালে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল ফরিদ উদ্দিনের। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে নেন। অবসরে যান ৫৯ বছর বয়সে, যার প্রমাণ ২০১১ সালের ৫ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপন।

এবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ই তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গত ১২ আগস্ট রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারমেন্ট এ্যামেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট-২০১০ এর ৪(এ) ধারা অনুযায়ী ফরিদ উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে দুই বছর যে বাড়তি চাকরি করেছেন তা অবৈধ। তাই এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।

অভিযুক্ত এম ফরিদ উদ্দিন দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রূপালী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির

আপডেট টাইম : ১২:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৫

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখিয়ে দুই বছর বেশি চাকরি করেছেন। এখন তৃতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক দায়িত্বে আছেন।তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এসএসসি সনদ অনুযায়ী ফরিদ উদ্দিনের জন্ম ১৯৫২ সালের ৮ জুলাই। নিয়ম অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তার বয়স ৫৭ বছর হলে তাকে অবসরে যেতে হয়। সে হিসাবে ২০০৯ সালে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল ফরিদ উদ্দিনের। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে নেন। অবসরে যান ৫৯ বছর বয়সে, যার প্রমাণ ২০১১ সালের ৫ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপন।

এবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ই তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গত ১২ আগস্ট রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারমেন্ট এ্যামেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট-২০১০ এর ৪(এ) ধারা অনুযায়ী ফরিদ উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে দুই বছর যে বাড়তি চাকরি করেছেন তা অবৈধ। তাই এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।

অভিযুক্ত এম ফরিদ উদ্দিন দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।