২০২৪ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে ৭ম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।গত বছরে শেষে বাংলাদেশে সাড়ে সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের একটি ব্লগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরও রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। গতবছর দেশটিতে আনুমানিক ১২৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়াও গত বছর বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের মধ্যে ভারত একাই নিয়ে গেছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
গত বছর রেমিট্যান্স অর্জনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল মেক্সিকো। দেশটির প্রবাসীরা দেশটিতে ৬৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা চীনা প্রবাসীরা নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চতুর্থ স্থানে থাকা দেশটি হলো ফিলিপাইন। দেশটির প্রবাসীরা দেশটিতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।
রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে থাকা দেশটির নাম মিসর। দেশটির প্রবাসীরা গত বছর নিজ দেশে ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন এবং নবম ও দশম অবস্থানে থাকা দুই দেশ যথাক্রমে গুয়াতেমালা ও জার্মানি। উভয় দেশের প্রবাসীরা নিজ নিজ দেশে সাড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
২১ শতকের শুরুর দিকে চীনের প্রবাসী আয় বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের মাত্র ১ শতাংশের নিচে থাকলেও, ২০০০-এর দশকের শেষ ও ২০১০-এর দশকের শুরুতে তা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় এবং ভারতের সমান হয়ে যায়। তবে, ২০১০-এর দশকের শেষ দিকে এটি ধীরে ধীরে আবারও ১০ শতাংশের নিচে নেমে যায়।
এদিকে, বৈশ্বিক রেমিট্যান্সে ভারতের শেয়ার ২০০০ সাল থেকে বেশির ভাগ সময় ১০ শতাংশের। মূলত মহামারি-পরবর্তী বছরগুলোতে বৈশ্বিক রেমিট্যান্সে ভারতের হিস্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। ২০২৪ সালে ভারতের বৈশ্বিক প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেক্সিকোর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য প্রবাসী আয় দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস। ২০২৪ সালে এই দেশগুলো ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা এক বছরে সর্বোচ্চ। ব্লগে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রবাসী আয় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে ছাড়িয়ে গেছে। এফডিআই বলতে বোঝায় কোনো একটি দেশে অপর একটি দেশের সরাসরি বিনিয়োগ।