ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা শিবিরে তিন লাখ মশারি বিতরণ করা হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেনাবাহিনী ও সহযোগীদের হত্যা, নির্যাতনের মুখে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ঘনবসতি গড়ে ওঠেছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবিরগুলোতে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

রোহিঙ্গারা মশারি ব্যবহারে সচেতন নয়, সেই সাথে গড়ে ওঠেনি কোনো ড্রেনেজ সিস্টেম। তাই ঝুঁকির মাত্রাও তুলনামূলক বেশি। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের মাঝে তিন লাখ মশারি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মাত্র তিন হাজার একর জায়গা, তার ওপর পাহাড়ি বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এখানেই বসবাস করছে নতুন-পুরাতন প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। আশ্রয় শিবিরগুলোতে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি পূর্ণাঙ্গ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। নেই কোনো ড্রেনেজ সিস্টেম।
আশ্রয় শিবিরের সব ময়লা আবর্জনা পলিথিনের ছাপড়ার পাশা দিয়ে তৈরি  কাঁচা ড্রেন দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আর এখানেই বিস্তার ঘটছে মশার। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে রাতে ঘুমানোর সময় মশারির তেমন ব্যবহার নেই। এর ফলে আশ্রয় শিবিরগুলোতে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা চিকিৎসকদের।

এমনিতেই পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। তার সাথে কাঁচা ড্রেনগুলোতে ঘটছে মশার বিস্তার। তাই মশা বিস্তারের স্থানগুলোতে ওষুধ ছিটানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার মতো মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে সরকার। এর আওতায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিন লাখ মশারি বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা। কয়েকদিন আগে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবির এলাকায় দু’জন রোহিঙ্গা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গা শিবিরে তিন লাখ মশারি বিতরণ করা হবে

আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেনাবাহিনী ও সহযোগীদের হত্যা, নির্যাতনের মুখে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ঘনবসতি গড়ে ওঠেছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবিরগুলোতে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

রোহিঙ্গারা মশারি ব্যবহারে সচেতন নয়, সেই সাথে গড়ে ওঠেনি কোনো ড্রেনেজ সিস্টেম। তাই ঝুঁকির মাত্রাও তুলনামূলক বেশি। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের মাঝে তিন লাখ মশারি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মাত্র তিন হাজার একর জায়গা, তার ওপর পাহাড়ি বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এখানেই বসবাস করছে নতুন-পুরাতন প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। আশ্রয় শিবিরগুলোতে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি পূর্ণাঙ্গ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। নেই কোনো ড্রেনেজ সিস্টেম।
আশ্রয় শিবিরের সব ময়লা আবর্জনা পলিথিনের ছাপড়ার পাশা দিয়ে তৈরি  কাঁচা ড্রেন দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আর এখানেই বিস্তার ঘটছে মশার। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে রাতে ঘুমানোর সময় মশারির তেমন ব্যবহার নেই। এর ফলে আশ্রয় শিবিরগুলোতে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা চিকিৎসকদের।

এমনিতেই পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। তার সাথে কাঁচা ড্রেনগুলোতে ঘটছে মশার বিস্তার। তাই মশা বিস্তারের স্থানগুলোতে ওষুধ ছিটানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার মতো মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে সরকার। এর আওতায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিন লাখ মশারি বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা। কয়েকদিন আগে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবির এলাকায় দু’জন রোহিঙ্গা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।