ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

সাইফুর রহমানের শূন্যতা পূরণ করবেন এম নাসের রহমান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৭৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহত্তর সিলেটে প্রয়াত মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অভাব পূরণ করবেন উনারাই জেষ্ঠ পুত্র জননেতা এম নাসের রহমান। এ বিষয়ে অনেকেই হয়তো আমার সাথে একমত হবেন না! কিন্তু উনিশ বছরের পেশাদার সাংবাদিকতা আর ত্রিশ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আমার এমনটাই মনে হচ্ছে। খুব কাছাকাছি আসতে না পারলেও একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে জনাব নাসের রহমান সাহেবের সাথে অসংখ্যবার কথা হয়েছে। নিউজ কভার করেছি মরহুম এম সাইফুর রহমান স্যারের ! যেটুকু দেখছি প্রয়াত এই মহান নেতার অনেক গুনাবলী আছে উনারাই অন্যতম এই উত্তরাধিকারের মাঝে !

আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ছিলেন সর্বকালের সেরা সিলেটপ্রেমী, বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের সফল অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। স্টাডি ব্রেক হওয়ার কারণে ৯৩ সালে উচ্চতর প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করি। ভর্তি হই মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে। তখন বিএনপি সরকারে। আর প্রয়াত এম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী। আমরা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে প্রায়ই উনার প্রোগ্রামে যেতাম। কলেজের প্রোগ্রামেও উনি প্রায়ই আসতেন।আমরা বন্ধুরা মিলে বের করি সাহিত্যের কাগজ ” শিশির “। আমি ছিলাম কাগজটির সম্পাদক ও প্রকাশক। নতুন এই মাসিক কাগজটির মোড়ক উন্মোচন করেছিলেন মহান এই নেতা। নতুন কাগজ হাতে পেয়ে এ বিষয়ে কিছু না বলে আমাকে বলেন, আগে পড়তে হবে।

বিশ্ব বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ ছিলেন. খুবই স্পস্টবাদী। উনিশ শত চুরানব্বই সালে আওয়ামীলীগসহ সসদের বিরোধীদলগুলো নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে তুমুল আন্দোলন করছে। এসময় সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে এক সকালে উনি পুরাতন জজকোর্টে আধুনিকায়নের উদ্বোধন করতে আসেন। উদ্বোধনী বক্তব্যের একপর্যায়ে হঠাৎ বলে উঠলেন ” এখানে আইনজীবী সমিতির কেউ আছেননি। উনারা বলেছিলেন.আইনজীবীদের বসার জন্য একটি ভবন দিতে। জানি না সরকারে কয়দিন আছি। পরে বলবেন সাইফুর রহমান সাহেব বলেও একটি ভবন দেননি !”

৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে নিজের মৌলভীবাজার -৩ আসন ছাড়াও সিলেট সদর আর গোয়াইনঘাট এলাকায় নির্বাচন করেন। তখন আমি এমসি কলেজের ছাত্র আর সংবাদকর্মী ! তিনি ২ টিতে বিজয়ী হয়েছিলেন । আর সিলেট ১টিতে স্থগিত দেখানো হয়। পরে হাতে গোনা ভোটের ব্যবধানে। ২০০১ সালের নির্বাচন চলাকালে আমি দৈনিক শ্যামল সিলেটের নিউজ ডেস্ক ইনচার্জ। বিভিন্ন স্থানে উনার অনেক নির্বাচনী মিটিং কাভার করেছি। হাটখোলা, জালালাবাদ, বাদাঘাট সহ কোম্পানীগঞ্জ থানার অনেক স্থানে আমরা নৌকায় যাই। উনি এসব দেখে আক্ষেপ করতেন। এখন এসব স্থানে ব্রিজ আর রাস্তা। বলা যায় গোটা সিলেটের চিত্র ? পাল্টে দিয়েছেন একজন সাইফুর রহমান। এমন আরো অনেক স্মৃতি আছে। ফলে সিলেটের হাটে ঘাটে মানুষ এখন উনার শুন্যতা অনুভব করছে! আমি কিন্তু দেখছি, জনাব নাসের রহমান সাহেব মহান এই পিতার অনেক গুনাবলী পেয়েছেন।

কুলাউড়ার সাবেক এমপি জনাব এম এম শাহীনের মালিকানাধীন মানব ঠিকানায় বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম! ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে উনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কজ করি। এসময় তিনি স্বতন্ত্র এমপি। ২০০২ সালে জনাব এম নাসের রহমান সাহেব জেলা বিএনপির সভাপতি হলে আমরা কুলাউড়ার কমিটি আনতে যাই। ঢাকায় উনার প্রাইভেট ফার্মে। একদিন বিএনপি শক্তিশালী করতে আমার সামনেই জনাব এম এম শাহীন কে বিএনপিতে ফিরিয়ে নিতে মোসাদ্দেক আলী ফালু সাহেব কে ফোনে খোজেন।

অবশ্য ওইদিন জনাব মোসাদ্দেক আলী ফালু ( ততকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব) সাহেব অফিসে ছিলেন না। পরের সপ্তাহে জনাব.এম নাসের রহমান সাহেব ( শাহীন ভাই ব্যতীত ) আমাদের সকলকে বিএনপিতে এড করে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি করে দেন ! জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্তান নেওয়ার পরও দল শক্তিশালী করতে জনাব এম নাসের রহমান সাহেব আমাদের বড় পদগুলো দেন।

কমিটির গিয়াস ভাই সভাপতি সজল ভাই সেক্রেটারি, আমি প্রচার ও প্রকাশনা কয়ছর ভাই পৌর সভাপতি আর সিপার ভাই সেক্রেটারি। আমরা সকলেই ছিলাম শাহীন ভাইয়ের অনুসারী। অথচ ২০০৩ সালে নিউইয়র্কে ঠিকানায় ততকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে একটি অশালীন খবর ছাপা হলে পরিস্তিতি কিছু পাল্টে যায় যাহা ছিলো স্বাভাবিক ! না হলে কুলাউড়া এবং মৌলভীবাজার জেলার রাজনৈতিক ইতিহাস অন্যরকম হতো।

২০০২ সালে জনাব এম নাসের রহমান সাহেব কুলাউড়া যান ! দুপুরে সাবেক এমপি এম এম শাহীন সাহেবের বাসায় লাঞ্চ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আমি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে উনার সাথে দেখা করি। ততকালীন এমপি জনাব এম নাসের রহমান প্রথমেই জানতে চান প্রেসক্লাবের কোনো স্থায়ী অফিস আছে কি না ?

আমি না বলতেই উনি অবাক হন এবং শহরে খালি সরকারি জমি দেখার জন্য বলেন। এমন আরো অনেক ঘটনা আছে। এই সেদিন কিছু রাজনৈতিক সহকর্মী নিয়ে উনার বাড়িতে গেলে ঘুম থেকে উঠে এসে আমাদের কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। নিন্দুকেরা যাই বলুক আমি মনে করি মিষ্টি কথা দিয়ে নয়, নিজের উচ্চতর শিক্ষা, নীতিনৈতিকতা, অধিকতর যোগ্যতা আর বিশাল হৃদয় দিয়ে সাবেক এমপি জনাব এম নাসের রহমান একদিন সিলেটের মহান নেতা এম সাইফুর রহমানের শুন্যতা পূরণ করবেন।
লেখক : সাবেক সভাপতি,কুলাউড়া প্রেসক্লাব ও চেয়ারম্যান, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

সাইফুর রহমানের শূন্যতা পূরণ করবেন এম নাসের রহমান

আপডেট টাইম : ০৪:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহত্তর সিলেটে প্রয়াত মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অভাব পূরণ করবেন উনারাই জেষ্ঠ পুত্র জননেতা এম নাসের রহমান। এ বিষয়ে অনেকেই হয়তো আমার সাথে একমত হবেন না! কিন্তু উনিশ বছরের পেশাদার সাংবাদিকতা আর ত্রিশ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আমার এমনটাই মনে হচ্ছে। খুব কাছাকাছি আসতে না পারলেও একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে জনাব নাসের রহমান সাহেবের সাথে অসংখ্যবার কথা হয়েছে। নিউজ কভার করেছি মরহুম এম সাইফুর রহমান স্যারের ! যেটুকু দেখছি প্রয়াত এই মহান নেতার অনেক গুনাবলী আছে উনারাই অন্যতম এই উত্তরাধিকারের মাঝে !

আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ছিলেন সর্বকালের সেরা সিলেটপ্রেমী, বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের সফল অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। স্টাডি ব্রেক হওয়ার কারণে ৯৩ সালে উচ্চতর প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করি। ভর্তি হই মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে। তখন বিএনপি সরকারে। আর প্রয়াত এম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী। আমরা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে প্রায়ই উনার প্রোগ্রামে যেতাম। কলেজের প্রোগ্রামেও উনি প্রায়ই আসতেন।আমরা বন্ধুরা মিলে বের করি সাহিত্যের কাগজ ” শিশির “। আমি ছিলাম কাগজটির সম্পাদক ও প্রকাশক। নতুন এই মাসিক কাগজটির মোড়ক উন্মোচন করেছিলেন মহান এই নেতা। নতুন কাগজ হাতে পেয়ে এ বিষয়ে কিছু না বলে আমাকে বলেন, আগে পড়তে হবে।

বিশ্ব বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ ছিলেন. খুবই স্পস্টবাদী। উনিশ শত চুরানব্বই সালে আওয়ামীলীগসহ সসদের বিরোধীদলগুলো নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে তুমুল আন্দোলন করছে। এসময় সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে এক সকালে উনি পুরাতন জজকোর্টে আধুনিকায়নের উদ্বোধন করতে আসেন। উদ্বোধনী বক্তব্যের একপর্যায়ে হঠাৎ বলে উঠলেন ” এখানে আইনজীবী সমিতির কেউ আছেননি। উনারা বলেছিলেন.আইনজীবীদের বসার জন্য একটি ভবন দিতে। জানি না সরকারে কয়দিন আছি। পরে বলবেন সাইফুর রহমান সাহেব বলেও একটি ভবন দেননি !”

৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে নিজের মৌলভীবাজার -৩ আসন ছাড়াও সিলেট সদর আর গোয়াইনঘাট এলাকায় নির্বাচন করেন। তখন আমি এমসি কলেজের ছাত্র আর সংবাদকর্মী ! তিনি ২ টিতে বিজয়ী হয়েছিলেন । আর সিলেট ১টিতে স্থগিত দেখানো হয়। পরে হাতে গোনা ভোটের ব্যবধানে। ২০০১ সালের নির্বাচন চলাকালে আমি দৈনিক শ্যামল সিলেটের নিউজ ডেস্ক ইনচার্জ। বিভিন্ন স্থানে উনার অনেক নির্বাচনী মিটিং কাভার করেছি। হাটখোলা, জালালাবাদ, বাদাঘাট সহ কোম্পানীগঞ্জ থানার অনেক স্থানে আমরা নৌকায় যাই। উনি এসব দেখে আক্ষেপ করতেন। এখন এসব স্থানে ব্রিজ আর রাস্তা। বলা যায় গোটা সিলেটের চিত্র ? পাল্টে দিয়েছেন একজন সাইফুর রহমান। এমন আরো অনেক স্মৃতি আছে। ফলে সিলেটের হাটে ঘাটে মানুষ এখন উনার শুন্যতা অনুভব করছে! আমি কিন্তু দেখছি, জনাব নাসের রহমান সাহেব মহান এই পিতার অনেক গুনাবলী পেয়েছেন।

কুলাউড়ার সাবেক এমপি জনাব এম এম শাহীনের মালিকানাধীন মানব ঠিকানায় বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম! ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে উনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কজ করি। এসময় তিনি স্বতন্ত্র এমপি। ২০০২ সালে জনাব এম নাসের রহমান সাহেব জেলা বিএনপির সভাপতি হলে আমরা কুলাউড়ার কমিটি আনতে যাই। ঢাকায় উনার প্রাইভেট ফার্মে। একদিন বিএনপি শক্তিশালী করতে আমার সামনেই জনাব এম এম শাহীন কে বিএনপিতে ফিরিয়ে নিতে মোসাদ্দেক আলী ফালু সাহেব কে ফোনে খোজেন।

অবশ্য ওইদিন জনাব মোসাদ্দেক আলী ফালু ( ততকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব) সাহেব অফিসে ছিলেন না। পরের সপ্তাহে জনাব.এম নাসের রহমান সাহেব ( শাহীন ভাই ব্যতীত ) আমাদের সকলকে বিএনপিতে এড করে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি করে দেন ! জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্তান নেওয়ার পরও দল শক্তিশালী করতে জনাব এম নাসের রহমান সাহেব আমাদের বড় পদগুলো দেন।

কমিটির গিয়াস ভাই সভাপতি সজল ভাই সেক্রেটারি, আমি প্রচার ও প্রকাশনা কয়ছর ভাই পৌর সভাপতি আর সিপার ভাই সেক্রেটারি। আমরা সকলেই ছিলাম শাহীন ভাইয়ের অনুসারী। অথচ ২০০৩ সালে নিউইয়র্কে ঠিকানায় ততকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে একটি অশালীন খবর ছাপা হলে পরিস্তিতি কিছু পাল্টে যায় যাহা ছিলো স্বাভাবিক ! না হলে কুলাউড়া এবং মৌলভীবাজার জেলার রাজনৈতিক ইতিহাস অন্যরকম হতো।

২০০২ সালে জনাব এম নাসের রহমান সাহেব কুলাউড়া যান ! দুপুরে সাবেক এমপি এম এম শাহীন সাহেবের বাসায় লাঞ্চ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আমি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে উনার সাথে দেখা করি। ততকালীন এমপি জনাব এম নাসের রহমান প্রথমেই জানতে চান প্রেসক্লাবের কোনো স্থায়ী অফিস আছে কি না ?

আমি না বলতেই উনি অবাক হন এবং শহরে খালি সরকারি জমি দেখার জন্য বলেন। এমন আরো অনেক ঘটনা আছে। এই সেদিন কিছু রাজনৈতিক সহকর্মী নিয়ে উনার বাড়িতে গেলে ঘুম থেকে উঠে এসে আমাদের কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। নিন্দুকেরা যাই বলুক আমি মনে করি মিষ্টি কথা দিয়ে নয়, নিজের উচ্চতর শিক্ষা, নীতিনৈতিকতা, অধিকতর যোগ্যতা আর বিশাল হৃদয় দিয়ে সাবেক এমপি জনাব এম নাসের রহমান একদিন সিলেটের মহান নেতা এম সাইফুর রহমানের শুন্যতা পূরণ করবেন।
লেখক : সাবেক সভাপতি,কুলাউড়া প্রেসক্লাব ও চেয়ারম্যান, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া।