ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনী দেশের আস্থা গর্বের প্রতীক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সাজসজ্জায় সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের আস্থা ও গর্বের প্রতীক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সেনানিবাসে এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের জাতীয় পতাকা প্রদান ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা দেশের চৌকস, সুশৃঙ্খল ও দুঃসাহসী সেনানী। মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ ও আত্মোৎসর্গ করার সংকল্পে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার। বর্তমান সরকারের রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের আলোকে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি প্রতিষ্ঠিত ও গ্রহণযোগ্য বাহিনী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। সেবা ও কর্তব্য পরায়ণের মাধ্যমে এই বাহিনী জনগণের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও জাতির আস্থা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। এ বছর চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাবার, পানি ও চিকিৎসা পৌঁছে দিয়ে সেনাবাহিনী আর্তমানবতার সেবায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সামরিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জিত হয় এবং নৈপূণ্য নিশ্চিত করা যায়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনা সদস্যদের কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরারসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনী দেশের আস্থা গর্বের প্রতীক

আপডেট টাইম : ০৪:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সাজসজ্জায় সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের আস্থা ও গর্বের প্রতীক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সেনানিবাসে এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের জাতীয় পতাকা প্রদান ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা দেশের চৌকস, সুশৃঙ্খল ও দুঃসাহসী সেনানী। মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ ও আত্মোৎসর্গ করার সংকল্পে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার। বর্তমান সরকারের রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের আলোকে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি প্রতিষ্ঠিত ও গ্রহণযোগ্য বাহিনী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। সেবা ও কর্তব্য পরায়ণের মাধ্যমে এই বাহিনী জনগণের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও জাতির আস্থা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। এ বছর চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাবার, পানি ও চিকিৎসা পৌঁছে দিয়ে সেনাবাহিনী আর্তমানবতার সেবায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সামরিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জিত হয় এবং নৈপূণ্য নিশ্চিত করা যায়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনা সদস্যদের কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরারসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।