ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি যুবকদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যুবকদেরকে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় যুব দিবস ২০১৭ উপলক্ষে বুধবার রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে যুবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ পরিহার করে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন হতে হবে। তাদেরকে আমাদের স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।’
যৌবনকে মানব জীবনের সর্বোত্তম সময় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে যুব সমাজকে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সমাজের সর্বস্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে আপনাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে হবে। এর ফলে দেশ দরিদ্রমুক্ত হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
রাষ্ট্রপতি যুবকদের দক্ষতা ও স্বক্ষমতা বাড়াতে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং যুব অধিদপ্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) ব্যবহার বাড়ানোর জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুবসমাজের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যুবকরা দেশের অতীতের প্রতিটি গৌরবময় ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি ২৬ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশই ছিলেন যুবক।’
তিনি বলেন, যুবকদের সাহস, শক্তি, উদ্ভাবনী শক্তি ও উদার মনোভাব গোটা বিশ্বের পাশাপাশি একটি জাতির মূল চালিকা শক্তি বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষ যুবক। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুব তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আর এমন একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যুব সমাজের অংশ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি ধনী দেশে পরিণত করতে যুব সমাজ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জন বিশেষত দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে যুবকদেরকে অবশ্যই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার, উপমন্ত্রী আরিখ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতি যুবকদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে

আপডেট টাইম : ০৭:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যুবকদেরকে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় যুব দিবস ২০১৭ উপলক্ষে বুধবার রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে যুবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ পরিহার করে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন হতে হবে। তাদেরকে আমাদের স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।’
যৌবনকে মানব জীবনের সর্বোত্তম সময় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে যুব সমাজকে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সমাজের সর্বস্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে আপনাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে হবে। এর ফলে দেশ দরিদ্রমুক্ত হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
রাষ্ট্রপতি যুবকদের দক্ষতা ও স্বক্ষমতা বাড়াতে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং যুব অধিদপ্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) ব্যবহার বাড়ানোর জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুবসমাজের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যুবকরা দেশের অতীতের প্রতিটি গৌরবময় ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি ২৬ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশই ছিলেন যুবক।’
তিনি বলেন, যুবকদের সাহস, শক্তি, উদ্ভাবনী শক্তি ও উদার মনোভাব গোটা বিশ্বের পাশাপাশি একটি জাতির মূল চালিকা শক্তি বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষ যুবক। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুব তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আর এমন একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যুব সমাজের অংশ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি ধনী দেশে পরিণত করতে যুব সমাজ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জন বিশেষত দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে যুবকদেরকে অবশ্যই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার, উপমন্ত্রী আরিখ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।