হাওর বার্তা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গরু ব্যবসায়ীদের গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাদেমাজু-বকশীপুর সড়কে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত সদস্যরা ৬ গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে তাদের কাছে থাকা নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত গরু ব্যবসায়ীরা হলেন উপজেলার বকশীপুর গ্রামের নেকবার মণ্ডলের ছেলে আরিফুল (৩০), মৃত মস্ত আলী মণ্ডলের ছেলে এনামুল হক (৪০), বাদল আলীর ছেলে জমজম (৩৫), খেদের আলীর ছেলে সুমা চাঁন মণ্ডল (৩২), আজিবর মণ্ডলের ছেলে শামসুল (৩৮) ও একই গ্রামের মৃত সুফিয়ান মণ্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (৪২)। আহতদের মধ্যে দুজনকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বকশীপুর গ্রামের ওই ৬ গরু ব্যবসায়ী কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়া পশুহাটে গরু বিক্রি করে ভটভটি গাড়ি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে তারা বাদেমাজু-বকশীপুর গ্রামে পৌছালে ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল তাদের গতিরোধ করে।
ডাকাতির শিকার এনামুল হক জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাত সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা শুরু করে। এতে আমিসহ আমার সাথে থাকা ৬ গরু ব্যবসায়ী আহত হয়। এ সময় ডাকাত সদস্যরা আমার কাছে থাকা নগদ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও সুমা চাঁনের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ডাকাতির কবলে পড়া আরিফুল জানান, ডাকাতির খবর সাথে সাথে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে ফোনে জানানো হলেও ওসিসহ থানার ডিউটি অফিসার ফোন রিসিভ করেনি। ডাকাত সদস্যরা ডাকাতি করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়ে তোড়জোড় শুরু করে। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ডাকতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।